বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

মুসলিমদের দোষারোপের অজুহাত, দিল্লির মসজিদ থেকে করোনা সংক্রমণ প্রসঙ্গে ওমর আবদুল্লা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০২০, ৫:০১ পিএম

দিল্লির নিজামুদ্দিন মসজিদে তাবলিগ জামাতের আয়োজনে যে ধর্মীয় সমাবেশ হয়েছিল তা থেকেই প্রচুর মানুষের শরীরে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। এমন গুজবে যখন গোটা ভারত বিচলিত, ঠিক সেই সময় জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা দাঁড়ালেন সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীর পাশেই। এই একটি ঘটনা দিয়ে ‘মুসলিমদের বদনাম করার সুযোগ’ খুঁজছেন অনেকেই, বললেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের ওই নেতা।

জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মতে, হ্যাশট্যাগ দিয়ে যারা ‘তাবলিগি ভাইরাস’ টুইট করছেন সেটা দেশের পক্ষে করোনা ভাইরাসের থেকে ‘আরও বিপজ্জনক’ হতে পারে। কেননা একটি প্রাকৃতিক ভাইরাস একটা সময়ের পর ধ্বংস হয়ে যায়, কিন্তু এই ধরণের বিদ্বেষ বড় ছাপ ফেলে রেখে যায় সমাজে।

ওমর আবদুল্লা টুইট করেন, ‘এখন #তাবলিগি জামাত কারও কারও কাছে সব জায়গায় মুসলিমদের বদনাম করার জন্য একটি বড়সড় অজুহাত হয়ে উঠবে, যেন আমরাই #কোভিড তৈরি করেছি এবং বিশ্ব জুড়ে ওই ভাইরাস ছড়িয়ে দিচ্ছি।’

যদিও এর পাশাপাশি তাবলিগি জামাতের সমালোচনা করেও তিনি লেখেন, ‘প্রথম দর্শনে যদিও এটাই মনে হচ্ছে যে এই ঘটনা তাবলিগি জামাতের দায়িত্বজ্ঞানহীন পদক্ষেপেরই ফল, তবে এটাও ঠিক যে, এই ধরণের সমাবেশ তাদের কাছে নতুন কিছু নয়। তবে ভারতের বেশিরভাগ মুসলমানরাই কিন্তু সরকারি নির্দেশিকাগুলি মানছেন এবং অন্যদের সেই নির্দেশ মেনে চলারই পরামর্শ দিচ্ছেন।’

দিল্লির নিজামুদ্দিন মসজিদের ওই অনুষ্ঠানটিতে অংশ নেয়া ৯১ জন মানুষের শরীরে ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসের প্রমাণ মিলেছে। তারা ১ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত আযোজিত ওই সমাবেশে যোগ দিয়েই ওই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া ধর্মীয় সমাবেশে যোগদানকারীদের মধ্যে ৭ জনের ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে এক বিবৃতিতে দিল্লির পশ্চিম নিজামুদ্দিনে তবলিগ-ই-জামাতের ‘মার্কাজ’ কর্তৃপক্ষ আত্মপক্ষ সমর্থন করে জানিয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী মোদি ২২ মার্চ ‘জনতা কারফিউ’ ঘোষণা করার পরে এই অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়। কিন্তু ততক্ষণে ওই মসজিদ চত্বরে প্রচুর মানুষের জমায়েত ছিল। তারা ওই কারফিউয়ের কারণে আটকা পড়ে। তাদের আর অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা ছিল না। আর এরপরেই শুরু হয়ে যায় দেশ জুড়ে লকডাউন। তাই বাধ্য হয়েই মসজিদ সংলগ্ন এলাকাতেই গা ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকতে বাধ্য হন ওই মানুষজন।

প্রসঙ্গত, ভারতে করোনা ভাইরাসে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১,৩৯৭ জন। ওই মারণ ভাইরাসের শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৫ জন মানুষ। সূত্র: এনডিটিভি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন