শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী বিশ্ব

তরুণদের ওপর কারফিউ

সিরিয়ার নিরাপদ অঞ্চলে আরো সেনাবহর পাঠিয়েছে তুরস্ক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০২ এএম

সময়ের সঙ্গে তুরস্কে বেড়ে চলছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এর প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে নতুন কিছু আঁটসাঁট পদক্ষেপ নিয়েছে নিয়েছে দেশটির সরকার। তাতে রয়েছে কুড়ির নিচে যাদের বয়স তাদের ওপর আংশিক কারফিউ আরোপের মতো সিদ্ধান্তও। শুক্রবার টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়িপ এরদোগান জানিয়েছেন, তরুণদের ঘরে রাখার কারফিউ শুক্রবার মাঝরাত থেকে বাধ্যতাম‚লক করা হয়েছে। “যেসব জনগণের বয়স ২০ এর মধ্যে তাদের ওপর আমরা আংশিক কারফিউ আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” সেই সঙ্গে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ৩১টি শহরের সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আঙ্কারা। প্রেসিডেন্ট তার নির্দেশনায় জানান, ইস্তাম্বুলে, আঙ্কারাসহ শহরগুলোতে ১৫ দিন কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে বা বের হতে পারবে না। এরদোগান বলেন, “প্রাথমিকভাবে শহরের সীমান্তগুলো ১৫ দিন বন্ধ থাকবে। প্রয়োজনে সময়সীমা আরও বাড়ানো হতে পারে।” আর জনসমাগমের জায়গাগুলোতে মাস্ক পরা অবশ্যই বাধ্যতাম‚লক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এরদোগান। অপরদিকে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশের নিরাপদ অঞ্চলে আরো সামরিক বহর পাঠিয়েছে তুরস্ক। ইদলিবে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে গত মাসে রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর পরও তুরস্ক নিরাপদ অঞ্চলে এসব সেনা পাঠালো। মস্কোয় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করার কয়েকদিনের মাথায় তুরস্ক ইদলবের কয়েকটি এলাকায় সেনা উপস্থিতি জোরদার করে। ব্রিটেনভিত্তিক কথিত মানবাধিকার সংস্থা ‘সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’ তুরস্কের পক্ষ থেকে নতুন করে সেনা উপস্থিতি বাড়ানোর খবর নিশ্চিত করেছে। করোনাভাইরাসে তুরস্কে আক্রান্তের সংখ্যা ২১ হাজার ছুঁই ছুঁই। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪০০। প্রাণঘাতী কভিড-১৯ রুখতে সব ধরনের আন্তর্জাতিক, স্থানীয় ফ্লাইট আগেই বন্ধ করে দিয়েছে তুরস্ক। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বার, ক্যাফে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে জনসমাগম। কিন্তু দেশটির জনগণ এখনও কাজে যাচ্ছে। কেননা এই পরিস্থিতিতেও দেশের অর্থনীতি ও রপ্তানির চাকা সচল রাখতে চাচ্ছেন এরদোগান। রোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে থাকা ৬৫ বছরের ঊর্ধ্ব বা যারা নানাবিদ জটিল রোগে দীর্ঘ দিন ধরে ভুগছেন সেসব জনগণকে ঘরে থাকতে আগেই বাধ্যতাম‚লক করেছে তুরস্ক। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বর্তমান পরিস্থিতিতেও অনেক তরুণ বাইরে অহেতুক ঘোরাফেরা করছে। এবার তাদেরও কারফিউয়ের আওতায় আনল তুরস্ক সরকার। “নাগরিকদের অত্যাচার করা আমাদের উদ্দেশ্য না। তবে তাদের সুস্বাস্থ্য আমাদের নিশ্চিত করতে হবে...আমি আমার জনগণকে বিশ্বাস করি। এটা কোনো ফাঁকা কথা না। আমরা যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি প্রত্যেকটিতে আমরা এই বিশ্বাসটা দেখতে পেরেছি।”-বলেন এরদোগান। আনাদোলু,পার্সটুডে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন