রাজশাহী মেডিকেল কলেজ করোনা ল্যাব এবং ঢাকা আই ই ডি সি আর-এ দুদফা টেস্টের পর করোনা পজিটিভ ধরা পড়ায় বগুড়ায় করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তিকে উদ্ধার ও চিকিৎসাদানকারিদের হোম কোয়ারেটাইনে পাঠানো হয়েছে।
হোম কোয়ারেন্টাইনে যাওয়া ব্যক্তিদের সংখ্যা ১৬ জন বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যেই লোকটিকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার ও চিকিৎসাদানের সাথে জড়িতরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করায় সংশ্লিষ্টদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে গত ২৮ মার্চ ঢাকা থেকে রংপুরের উদ্দেশ্যে একটি ট্রাকে চড়ে অন্যদের সাথে যাত্রা করে ধাপ মডার্ন রংপুরের বাসিন্দা মধ্য বয়সী শাহ আলম। রাত প্রায় শেষের দিকে ট্রাকটি যখন বগুড়ার মহাস্থান অতিক্রম করছিল। তখন কাশতে কাশতে শাহ আলমের অবস্থা কাহিল।
এদিকে শাহ আলমের কাশির ধরন দেখে সহ যাত্রীদের করোনা বলে সন্দেহ হওয়ায় ট্রাক থামিয়ে সবাই মিলে শাহ আলমকে ফেলে রেখে যায়। পরদিন ২৯ মার্চ স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি ও শিবগঞ্জ থানার পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে শিবগঞ্জ উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে শহীদ জিয়া মেডিকেলে নেয়া হলে তাকে আইসিইউ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে রেফার্ড করা হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের করোনা ল্যাবটেস্ট ইউনিটে পাঠালে সেখান থেকে পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তবে বগুড়ার সিভিল সার্জন মিডিয়ার কাছে ওই রিপোর্টের ব্যাপারে কিছুই না বলে পুনরায় ওই রোগীর কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার আইইসিডিআরে পাঠালে সেখান থেকেও পজিটিভ রিপোর্ট আসে।
এরপরই নড়ে চড়ে বসে স্বাস্থ্য বিভাগ। দ্রুতই তাকে চিকিৎসাদানকারি শহীদ জিয়া মেডিকেলের বিভাগীয় প্রধান, ডাক্তার নার্স, এবং শিবগঞ্জ থানার পুলিশসহ ১৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন-এ পাঠানো হয়। রোববার বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নুরুজ্জামান বলেন, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা সবাই ভালো আছেন। এছাড়া চিকিৎসাধীন শাহ আলমের অবস্থাও স্থিতিশীল। এদিকে এ ঘটনার প্রেক্ষিতে এখন উদ্বেগের কোনো কারন ঘটেনি বলেও জানান ডা. নুরুজ্জামান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন