কালবৈশাখী ঝড়ে গতকাল পটুয়াখালীতে পৃথক স্থানে ৪ জন নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছে। দুপুর আড়াইটার দিকে কালবৈশাখী ঝড়ের সময় বজ্রপাতে পটুয়াখালী সদর উপজেলার খলিসাখালীতে রিকশাচালক জাহাঙ্গির তালুকদার, (৩৮) ও মির্জাগঞ্জ উপজেলার বাজিতা গ্রামে কৃষক হাবিব হাওলাদার, ( ৫২ ) নিহত হয়। বজ্রপাতে হাবিব হাওলাদারের ছেলে তারেক হাওলাদারও আহত হয়। এছাড়াও গলাচিপা উপজেলার বকুলবাড়িয়া গ্রামের মাদরাসা ছাত্র জোবায়ের ইসলাম, (১৬), ও চরবিশ্বাসে তানজিলা (১২) নিহত হয়।
এদের মধ্যে খলিসাখালীর জাহাঙ্গীর তালুকদার গ্রামের মৃত আজাহার হাওলাদারের ছেলে। পারিবারিক সূত্র জানায়, জাহাঙ্গীর তার বৃদ্ধ মা মনোয়ারা বেগমকে (৬৫) নিয়ে বাড়ির পাশে ইটভাটার পুকুরে গোসল করতে যায়। এ সময় প্রচন্ড বেগে ঝড় বইতে শুরু করে । সাথে বজ্রপাত হতে থাকে। এরই মধ্যে মনোয়ারা বেগম গোসলশেষে বাড়ি চলে যায়। কিন্তু ছেলে জাহাঙ্গীর গোসল শেষে বাড়ি ফেরার পথে পুকুর পাড়েই বজ্রাহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরে। স্থানীয়রা তাকে পটুয়াখালী শহরে ২৫০শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পটুয়াখালী সদর থানার ওসি আক্তার মোর্শেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
অপরদিকে, মির্জাগঞ্জের বাজিতা গ্রামের কৃষক হাবিব হাওলাদার তার ছেলে তারেককে নিয়ে বাড়ির পাশের মাঠ থেকে গরু আনতে যান। পথিমধ্যে বজ্রাহত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন তার ছেলে তারেক আহত হয়। তারেককে মির্জাগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মির্জাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়াও গলাচিপা উপজেলার বকুলবাড়িয়া গ্রামের মাদরাসা ছাত্র জোবায়ের ইসলাম বাড়ির পাশে ক্ষেতে গরু আনতে গেলে সেখানেই বজ্রাহত হয়ে নিহত হয়, এছাড়া চরবিশ্বাসে আনসার হাওলাদারের মেয়ে তানজিলা মাঠে ছাগল আনতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হয় বলে গলাচিপা থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন