করোনাকালেও শবে বরাতের আগে অস্থির বাজার। মাছ, সবজির সরবরাহ প্রচুর। মুরগি পর্যাপ্ত থাকলেও গরুর গোশতের সঙ্কট। শাক-সবজির দাম নাগালে থাকলেও মাছ, গোশত এবং পেঁয়াজ-রসুন ও মসলার দাম এখনও চড়া। শাটডাউনের সুযোগে বাজারভেদে পণ্যমূল্যের তারতম্য বিস্তর। গতকাল বুধবার বাজার ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের প্রচন্ড ভিড়। স্বাভাবিক সময়ে শবে বরাতের আগে গোশত, পোলাও, হালুয়া-রুটিসহ নানা রকমের উপাদেয় খাদ্য সামগ্রী কেনার ধুম পড়লেও এবারের চিত্র ভিন্ন। বেশিরভাগ ক্রেতা মাছ, গোশত, শাক-সবজি কিনছেন।
ক্রেতার ভিড়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যাচ্ছে না। বাজার ঘুরে দেখা যায়, মুরগির দাম স্বাভাবিক রয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিয়ে শাদিসহ সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় মুরগির দাম স্বাভাবিক আছে। তবে গরু এবং খাসির দাম চড়া। প্রতিকেজি গরুর গোশত ৬৫০-৭০০ এবং খাসি ৭৫০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শাটডাউনের কারণে গরু আসা বন্ধ হয়ে গেছে। মাছের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক। তবে দাম বেশি।
ছোট সাইজের ইলিশ প্রতিকেজি ৪০০-৬০০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৫০০-৬০০ টাকা, রুই ২৫০-৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সব ধরনের সবজির দাম কমছে। ২০-৩০ টাকায় ভালোমানের সবজি পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে ক্রেতা কম। এ কারণে অনেক সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। খাতুনগঞ্জে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরা বাজারে এখনও পেঁয়াজ ৪০-৫৫ টাকা। আদা, রসুনের দাম কিছুটা কমলেও অন্যান্য গরম মসলার দাম আগের মত ঊর্ধ্বমুখী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন