রাজশাহী পশ্চিম রেলওয়ের ওয়াগান থেকে গতকাল দুপুরে রেলস্টেশনের তেল চুরির ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে জিআরপি পুলিশ। পলাতক রয়েছেন আরো একজন। তেল চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে সিনিয়র সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার আবদুল হাসানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
পশ্চিম রেলওয়ের চিফ ইলেট্রিক ইঞ্জিনিয়ার সফিকুর রহমান জানায়, এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। স্থানীয় ও রেলওয়ের সূত্রে জানা গেছে, এর আগে বেশ কয়েক ট্রাক তেল চুরি করা হয়। সর্বশেষ গতকাল দুপুরে এক ট্রাক তেল চুরির সময় বিষয়টি জানাজানি হলে নিরাপত্তা কর্মীরা ট্রাকটি ধরে ফেলে। তবে ট্রাক চালক পালিয়ে গেলেও চালকের সহকারী গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া রেলওয়ের নিরাপত্তা কর্মীরা ট্রাকটি জব্দ করেছেন। সেই সময় তেল চুরিতে ব্যবহার করা মেশিনগুলো জব্দ করা হয়। আটককৃতরা হলো, যমুনা ওয়েল কোম্পানির ডিপো ইনচার্জ আমজাদ হোসেন, লরির হেলপার ইলিয়াস হোসেন, যমুনা অয়েলের কর্মচারী মুকুল আলী।
জানা গেছে, একটি লরিতে প্রায় ৫ হাজার লিটার তেল ছিলো। রেলওয়ের কর্মকর্তারা ধারণা করছেন এইভাবে অনেক তেল চুরি হয়েছে। রাজশাহী পশ্চিম রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ কামাল বলেন-স্টেশনে তেলবাহী বেশ কয়েকটি লরি তেল এনেছে পদ্মা ও যমুনা ওয়েলের। এর মধ্যে শুধু একটা বগির সিলভার রঙ্গে। সেটি সরকারি তেল ছিলো। এই তেল সরকারি কাজের জন্য। তেলগুলো স্টেশনের ভেতরের একটি ট্যাংকিতে রাখা হয়। কিন্তু সেই তেলগুলো ট্রাকে ভর্তি করা হচ্ছিল। এ সময় বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এই ঘটনায় একজনকে আরএমপি পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন