মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

গাজীপুরে নবজাতক বিক্রি করে হাসপাতালের বিল পরিশোধঃ পুলিশ ফিরিয়ে দিলেন মায়ের কোলে

গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ মে, ২০২০, ১০:৫১ এএম

গাজীপুরে এক হত দরিদ্র পিতা মাতা তাদের নবজাতক ছেলে সন্তানকে বিক্রি করে হাসপাতালের বিল প্ররিশোধ করেছেন। পরে পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের নিজ উদদ্যোগে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করে নবজাতককে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন।  ঘটনাটি ঘটেছে  গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী কাশিমপুর এলাকায়। 

 
শুকবার (১মে) রাতে এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রো পুলিশের এডিসি (ক্রাইম) তার ফ্রেসবুকে বিস্তারিত  উল্লেখ করে বলেছেন যে, গত ২১ এপ্রিল কেয়া খাতুন নামে এক মহিলা তার জরুরী অবস্হা নিয়ে কোনাবাড়ী সেন্ট্রাল মেডিকেল হাসপাতালে ভতি হন। ওই দিনই কেয়া খাতুন সিজারের মাধ্যমে ফুটফটে এক ছেলে সন্তানের জম্ম দেন। 
১১ দিন ওই হাসপাতালে থাকা অবস্হায় হাসপাতালের বিল আসে ৪৭ হাজার টাকা। কেয়া খাতুন ও তার স্বামী চরম দারিদ্রতার কারনে বিল দিতে না পারায় তাদের নবজাতক ছেলে সন্তানকে অন্যের নিকট পচিশ হাজার টাকায় বিক্রি করে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করেন। পরে নারী ছেড়া বুকের ধন না নিয়ে শুকবার (১মে)
তাদের বাড়ী কাশিমপুরের এনায়েতপুরে চলে যান।
 
বিষয়টি পুলিশের এক এডিশনাল আইজি (এসবি) জানতে  পেরে গাজীপুর মহানগর মেট্রোপুলিশ কমিশনারকে অবহিত করেন। গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন তাৎক্ষণিক ভাবে হাসপাতালে গিয়ে নিজ উদদ্যোগে বিল পরিশোধ করেন এবং বিক্রি করে দেয়া নবজাতক ছেলেটিকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেন। ওই এলাকার একাধিক সুএ জানায়, নবজাতক ছেলে সন্তান বিক্রি করে হাসপাতালের বিল পরিশোধ এবং পরে পুলিশের সহযোগিতায় মা বাবা তাদের নবজাতক ছেলে সন্তান ফিরে পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে যেমন আলোচনার চলছে তেমনি পুলিশের এমন মানবতার কাজ মানুষের মাঝে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে। 
 
 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
শওকত আকবর ২ মে, ২০২০, ১১:১৩ এএম says : 0
আমাদের পুলিশ এখন অনেক মানবিক। জীবনে এমন মানবিকতা আমিও পেয়েছিলাম পুলিশের কাছ থেকে।ক্লিনিকের পাওনা মিঠি দিয়ে আমার নাতিকে সেরে বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করে দিয়েছিলো। ২ঘন্টা পরে অবশ্য তার মিঠিয়ে দেওয়া পনের হাজার টাকা ফেরৎ দিয়েছি।
Total Reply(0)
jack ali ২ মে, ২০২০, ১১:৫১ এএম says : 0
Fundamental of Human being is declared by Islam is: 1.Food 2.Shelter 3.Education 4.Medical Treatment 5. Security and live a life with human dignity We don't have any things in our country because our country is not ruled by The Law of Allah . This poor women has to sell her child to pay the hospital bill. Why???? Those police helped her, may Allah rewards them in Jannatul Ferdous. Aslo Allah punish those who are in power severely.
Total Reply(0)
রবিউল আলম ২ মে, ২০২০, ১২:৫৪ পিএম says : 0
পুলিশের কাজই কিন্তু মানুষের পাশে থাকা,মানুষের সকল বিপদ আপদে আইনীী সহায়তা প্রদান করা। কিন্তু এই তো কিছু দিন পূর্বের পুলিশ আর বর্তমান পুলিশের মধ্যে বিস্তর একটা পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যাচ্ছ, সে হলো "মানবতা" তাই একটা গল্প মনে পড়ে,কোন এক প্রাকৃতিক দূর্যোগের(বন্যা)সময় সকল জীব-জন্তু ও পশু-পাখি এক ডাংগা জায়গায় আশ্রয় নেয়,এতে শেয়াল এবং মুরগির খুব বন্ধুত্ত গড়ে ওঠে কারণ শেয়ালের কোথাও যাবার রাস্তা ছিলো না কিন্তু বন্যা যখন শেষ হলো শেয়াল তখন মুরগীটার গলা চেপে ধরে নিয়ে পালিয়ে গেল। যাহোক,আমি আশা রাখি আমাদের পুলিশ ভাইয়েরা এই মহা দুর্যোগ থেমে যাবার পরেও,ঐ গল্পের নায়ক আর কোন দিন হবেন না। অবশ্যই সকল মানুষের মনে এই,"মহামানব"হয়েই আপনারা বেঁচে থাকবেন।
Total Reply(0)
এ,কে মহিউদ্দিন ৩ মে, ২০২০, ১:৩৯ এএম says : 0
সিজার এর বিল ৪৭ হাজার হয় কিভাব??
Total Reply(0)
Raquiba khan @rajahan khan ৩ মে, ২০২০, ১:৫৯ এএম says : 0
Police public r not friends but assist to each other like well wishers to each other which has been proved through this team of this team of the BD police. May Allah reward you all BD Police! You showed generocity to needy & victims so Allah will increase your strength in performing the acts of humanity in return.
Total Reply(0)
Md. Yousuf ৩ মে, ২০২০, ৪:৫৩ পিএম says : 0
পুলিশ মানবিক কাজ করল এই জন্য উনাকে দুনিয়া আখেরাতে উত্তম প্রতিদান আল্লাহ দান করুন। কিন্তু হাসপাতাল কেমন অমানবিক?
Total Reply(0)
Mohammed Shah Alam Khan ৪ মে, ২০২০, ৭:২৭ এএম says : 0
আমাদের দেশের ডাক্তাররা এতই খারাপ এনারা পয়সা ছাড়া কিছুই বুঝেন না। এনাদের ফি এতই বেশী যে সাধারন জনেরা এনাদের কাছে ধারে যেতে পারেনা। এনারা সরকারি চাকুরী করেন পাশে আবার ক্লিনিক কিংবা প্রাভেট হাসপাতালে চাকুরী করেন। এনারাই রুগী দেখেন কোন মালিক রুগী দেখেন না, এনারাই কোন রকম চেষ্টা না করেই বলে দেন নরমাল ডেলেভারী হবে না সিজারিয়ান করতে হবে কারন নরমাল ডেলিভারী হলে পয়সা কম তাই। যদিও দেখা যায় রুগীকে নরমাল ডেলিভারী করানো যেত তারপরও ডাক্তারা তাদের পকেট ভরার জন্যে অপারেশন করতে বলে দিলেন। এখন রুগী কোথায় যাবে... কাজেই আমার বিচার প্রথমেই ডাক্তারকে ঝালাই করতে হবে এটাই সত্য। ক্লিনিক বা হাসপাতাল ব্যাবসায়ীরা দেন এটা সত্য কিন্তু এটা চালান কারা?? ডাক্তাররাই হাসপাতালের ব্যাবসা চালিয়ে থাকেন কারন তারাই চিকিৎসা বুঝেন এবং কি চিকিৎসা করাতে হবে এটা বুঝেন। এখন ডাক্তাররা যদি তাঁর নিজের পকেট ভরতে না চান তাহলেই প্রকৃত চিকিৎসা হবে মানে ডাক্তাররা সত্য কথাই বলবেন এতে দাক্তারের ফি কম হলেও। আমি বিদেশে দেখেছি ডাক্তারা সাধারণত ভাবে চাইবেন রুগীর নরমাল ডেলিভারী হউক কারন এতে রুগীর মঙ্গল এবং এজন্যে নানা রকম কৌশলও করে থাকেন সময়ও প্রচুর নেন তারপরও নরমাল ডেলিভারী করান। আমার বড় মেয়ে কানাডার এক হাসপাতালে তাঁর প্রথম সন্তান হবার সময়ে নরমাল ডেলিভারী করানোর জন্যে অনেক চেষ্টা করছিলেন তখন বাচ্চার অসুবিধা হওয়াতে সাথে সাথে তাঁকে সিজারিয়ান করা হয়। কিন্তু এর কয়েক বছর পর একই হাসপাতালে তাঁর দ্বিতীয় সন্তান নরমাল ডেলিভারী হয়েছে। এখন বুঝুন ডাক্তাররা চাইলে সিজারিয়ান রুগীর পরবর্তী সন্তান নরমাল ডেলিভারী হয় কিন্তু আমাদের দেশে একবার সিজারিয়ান হলে বার বার সিজারিয়ান হয় কি আশ্চার্য তাই না?? বাংলাদেশে ডাক্তারা পয়সা কামানোর জন্যেই ডাক্তার হয়ে থাকেন এটা তাদের স্বভাব চরিত্রে ফুটে উঠে।
Total Reply(0)
Md.Ruhul AMIN ৭ মে, ২০২০, ৮:৩৭ এএম says : 0
আবারো প্রমাণিত হলো পুলিশ মানুষের বন্ধু।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন