করোনাভাইরাস সংক্রামণ প্রতিরোধে যেসব পেশার মানুষ সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে পুলিশ বাহিনী তাদের মধ্যে অন্যতম। এই বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে করোনা সংক্রামণের হার বেশি। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এক হাজার ১৫৩ জন পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। পুলিশ সদস্য বেশি আক্রান্ত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছে সদর দফতর। পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার এ আই জি সোহেল রানা এক ভিডিও বার্তায় এর ব্যাখ্যা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, পুলিশিং একটি ইউনিক প্রফেশন। এই প্রফেশনে থেকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেশার যে সুযোগ রয়েছে, তা অন্য কোনও প্রফেশনে নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই দিকটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কোয়ারেন্টিন এবং আইসোলেশন নিশ্চিত করতে পুলিশকে মানুষের বাড়ি বাড়ি যেতে হয়েছে। এগুলো নিশ্চিতে মানুষের খুব কাছে যেতে হয়। রোগীকে হাসপাতালে নেয়ার প্রয়োজন হলে তা পুলিশকেই করতে হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে যানবাহনের একটু সংকট রয়েছে, তাই পুলিশের গাড়িতে করে রোগীদের পৌঁছে দিতে হচ্ছে। এমনকি তাদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতেও পুলিশ কাজ করছে।
এ আই জি সোহেল রানা বলেন, দ্রব্যমূল্য, কালোবাজারি নিয়ন্ত্রণেও মানুষের খুব কাছে থেকে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। আসামিকে গ্রেফতার করতে খুব কাছ থেকে তাকে স্পর্শ করতে হয়। তা ছাড়া ধরা সম্ভব নয়। করোনায় কেউ মারা গেলে তার সৎকার, জানাজা, দাফনে পুলিশকে যেতে হচ্ছে। কিন্তু তাৎক্ষণিক নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।
সোহেল রানা ভিডিও বার্তায় আরও বলেন, আমাদেও কোনও সদস্য যখন আক্রান্ত হচ্ছেন, তখন অন্য সদস্যের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। ফোর্স যারা ব্যারাকে থাকেন, সেখানে স্বল্প স্পেসে থাকতে হচ্ছে। একসঙ্গে থাকা তাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চেষ্টা করা হচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের নিরাপদ দূরত্বে বিছানাসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু দেয়ার। তারপরও পেশাগত বৈচিত্রের কারণে বাড়তি কিছু ঝুঁঁকি থেকে যাচ্ছে। এসব কারণে পুলিশের করোনা সংক্রমণের হার বেশি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন