বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের ইন্তেকাল

প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীর শোক প্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ মে, ২০২০, ১২:০২ এএম

জাতীয় অধ্যাপক শিক্ষাবদ ড. আনিসুজ্জামান আর নেই। গতকাল রাজধানী ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী সিদ্দিকা জামান, দুই মেয়ে রুচিবা ও শুচিতা এবং একমাত্র ছেলে আনন্দসহ অংসখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়াও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা গভীর শোক প্রকাশ এবং মরহুমের পরিবারের প্রতি সমবেতনা জানান।

অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বার্ধক্যজনিত কারণে বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ছেলে আনন্দ জামান জানান, তার বাবার দীর্ঘদিন থেকে হার্ট, কিডনিতে জটিলতায় ভুগছিলেন।

বার্ধক্যজনিত নানা রোগের কারণে গত ২৭ এপ্রিল রাজধানীর ইউনিভার্সেল কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে। সেখানে চিফ কার্ডিওলজিস্ট অধ্যাপক খন্দকার কামরুল ইসলামের অধীনে চিকিৎসা নেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৩ মে চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (সিসিইউ) স্থানান্তর করেন। কিন্তু শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গত ৯ মে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়।

জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান অনাবিল সমাজ হিতৈষী, গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল চেতনা, সুশীল বুদ্ধিবৃত্তিকর চর্চা ও ব্যক্তিগত মণীষা দিয়ে নিজেকে পরিণত করেছিলেন দেশের অগ্রগণ্য মানুষে। বাংলাদেশের মতো তিনি ভারতের খুবই সমাদৃত ছিলেন। ভারত তাকে রাষ্ট্রীয় পদ্মভুষণ সম্মাননা প্রদান করেন। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রিতে ভূষিত করেন। বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সরকার সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করেন। এ ছাড়াও তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক, অলক্ত পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কারসহ নানা পুরস্কার পান। ২০১৮ সালের ১৯ জুন বাংলাদেশ সরকার তাকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেন।

ড. আনিসুজ্জামান ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা এটিএম মোয়াজ্জেম ছিলেন বিখ্যাত হোমিও চিকিৎসক। ১৯৫৬ ও ১৯৫৭ সালে স্নাতক সম্মান এবং এমএ- তে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন আনিসুজ্জামান। অনার্সে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ার কৃতিত্বস্বরূপ ‘নীলকান্ত সরকার স্বর্ণপদক’ বৃত্তি লাভ করেন।

১৯৬৫ সালে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ভাষা আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। ১৯৮৫ সালে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন।

আনিসুজ্জামানের উল্লেখযোগ্য রচনাবলির মধ্যে ‘স্মৃতিপটে সিরাজুদ্দীন হোসেন’, ‘শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ স্মারকগ্রন্থ’, ‘নারীর কথা’, ‘মধুদা, ফতোয়া’, ‘ওগুস্তে ওসাঁর বাংলা-ফারসি শব্দসংগ্রহ’ ও আইন-শব্দকোষ অন্যতম। ##

 

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
Sm mozibur bin kalam ১৫ মে, ২০২০, ৪:৩৬ এএম says : 0
যতটা জানি ইসলামের সাথে উনার সম্পর্ক ভালো ছিলোনা। দেশের মানুষ ওনাকে ভারতপন্থি বুদ্দিজিবী হিসাবে জানে।
Total Reply(0)
গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল চেতনা. ১৫ মে, ২০২০, ৬:০৪ এএম says : 0
.....অধ্যাপোক মরহুম আনিসুজ্জামানকে শোকপ্রকাশ জানাচ্ছি. আল্লাহ তাকে জান্নাত বাসী করুন.
Total Reply(0)
Shahidul islam ১৫ মে, ২০২০, ৬:৪২ এএম says : 0
ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন! We should know mining of this line and we mast make oure life for this time.name of Allah and put on party of prophet's Mohammad (sall).we should preparation for that time.everybody tasted that time.we should believing and make life for this.
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন