মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চট্টগ্রাম বন্দরে স্টোররেন্ট মওকুফের মেয়াদ শেষ

জট হ্রাস তবে বাড়েনি ডেলিভারি পরিবহন

বিশেষ সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০২০, ১২:০২ এএম

ইয়ার্ডে বেসামাল জট হ্রাস এবং দেশের শিল্প-কারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনায় ব্যয় হ্রাসের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনারে স্টোর রেন্ট বা ইয়ার্ডে মজুদের নির্ধারিত ভাড়া শতভাগ মওকুফের সর্বশেষ সময়সীমা গতকাল (শনিবার) অতিবাহিত হয়ে গেছে। আজ (রোববার) থেকে বন্দরের ইয়ার্ডে পণ্যভর্তি কন্টেইনার মজুদ ফেলে রাখা হলে নির্ধারিত সময় ও রেইট অনুসারে স্টোররেন্ট, নিয়মমাফিক এমনকি যথানিয়মে পেনাল রেন্ট বা দন্ডভাড়াও কার্যকর করা হবে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, নতুন করে আপাতত এই শতভাগ ছাড়ের সুযোগ নেই। তাছাড়া বিশেষ ছাড়ের এ ব্যবস্থায় বন্দরজট ব্যাপক না হলেও কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। তবে তেমন বাড়েনি পণ্য ডেলিভারি পরিবহন। অনেক আমদানিকারক-ব্যবসায়ীর গাছাড়া ভাবের কারণে বন্দর থেকে পণ্যসামগ্রী ডেলিভারি পরিবহন তেমন নেননি প্রত্যাশা অনুযায়ী। দু’দফায় কর্তৃপক্ষ সময়সীমা বৃদ্ধি করে। এরফলে বন্দরকে প্রায় দু’শ কোটি টাকা নিট আয় ছাড় দিতে হয়েছে।
চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রি, বিজিএমইএসহ বন্দর ব্যবহারকারিদের অনুরোধে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনে শতভাগ স্টোররেন্ট ছাড়ের সুযোগ দেয়া হয়। জানা গেছে, বিজিএমইএ ফের অনুরোধ করেছে এ ছাড় সুবিধার মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য। বর্তমান জট পরিস্থিতি সম্পর্কে চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক ইনকিলাবকে বলেন, জট কিছুটা উন্নতির দিকে। তবে আমরা আরও ডেলিভারি পরিবহন আশা করেছিলাম। যদিও কেউ কেউ শতভাগ ছাড়ের সুযোগ নেননি। গতকাল ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ১৯২ টিইইউএস কন্টেইনার ডেলিভারি হয়েছে। বর্তমানে বন্দরের ইয়ার্ডগুলোতে ৪৩ হাজার ৫৬০ টিইইউএস কন্টেইনার মজুদ রয়েছে। যা স্বাভাবিক ধারণক্ষমতা ৪৯ হাজার ১৮০ টিইইউএস’র নিচে। গতকাল হ্যান্ডলিং হয়েছে ৮ হাজার ১২০ টিইইউএস কন্টেইনার। বর্তমানে জেটি-বার্থে কন্টেইনারবাহী আরও ১১টি জাহাজের আমদানি কন্টেইনার খালাস কাজ চলছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন