থামছে না মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি। অসাধু আমদানিকারক চক্রের সিন্ডিকেট শত শত কোটি টাকার শুল্কফাঁকি দিচ্ছে। মিথ্যা ঘোষণায় আনা একের পর এক চালান আটকের পরও ভাঙ্গছে না অসাধু সিন্ডিকেট। এবার বন্ড সুবিধার চালানে আনা হয়েছে পাঁচ কোটি টাকার বিদেশি সিগারেট। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম বন্দরে চালানটির শতভাগ কায়িক পরীক্ষায় পাওয়া যায় ব্ল্যাক, ডানহিল, ডেভিডঅফ, ন্যানো ওরিস ব্রান্ডের বিদেশি সিগারেট।
শতভাগ রফতানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে দেয়া শুল্কমুক্ত বন্ড সুবিধায় মিথ্যা ঘোষণায় আনা সিগারেটের চালানটি জব্দ করা হয়েছে। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর চালানটির কায়িক পরীক্ষা করে তিন হাজার ৭৪৮ দশমিক সাত কেজি ওজনের ৪৮ লাখ ২৮ হাজার শলাকা সিগারেট পায়। এর আগে সোমবার এ-ফোর সাইজ কাগজ আমদানির ঘোষণায় আনা ২৩ হাজার কার্টনে ভরা ৪৬ লাখ শলাকা বিদেশি সিগারেট জব্দ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ওই চালানটির মাধ্যমে ১১ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা হচ্ছিল।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, পাবনার ঈশ্বরদী রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (ইপিজেড) ফুজিয়ান এক্সপোর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে বন্ড সুবিধায় ‘পলিয়েস্টার পিইটি স্ট্র্যাপ’ ঘোষণায় চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। গোপন সংবাদ থাকায় কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে চালানটির আইজিএম ব্লক করা হয়। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ও বন্দর কর্তৃপক্ষকে কাস্টমস গোয়েন্দার অনাপত্তি ছাড়া চালানটি খালাস না দিতে চিঠি দেয়া হয়। গতকাল ‘ফোর্সড কিপ ডাউনের’ মাধ্যমে কন্টেইনার খুলে চালানটির শতভাগ কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। এ সময় ঘোষণা বহির্ভ‚ত বিভিন্ন ব্রান্ডের বিদেশি সিগারেট পাওয়া যায়।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের সহকারী পরিচালক নুরুন নাহার লিলি সাংবাদিকদের জানান, শতভাগ রফতানিমুখী শিল্পের জন্য দেয়া শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচামাল আমদানির কথা থাকলেও বাস্তবে ওই চালানে পাওয়া গেছে বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের সিগারেট। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। মিথ্যা ঘোষণায় আমদানির সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে গড়ে মিথ্যা ঘোষণায় আনা তিনটি চালান ধরা পড়ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন