দেশজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণে চলমান সংকট বিবেচনায় এবারের ঈদে বাইরে ঘোরাফেরা নয় বরং সবাই ঘরেই থাকুন। এবার একেবারেই ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে আমরা দেশবাসী পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে যাচ্ছি, যখন প্রায় প্রত্যেকটি জেলা করোনায় আক্রান্ত, এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আমফানের আঘাত। শুক্রবার দুপুরে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর ও চলমান করোনা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে র্যাবের গৃহীত আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে অনলাইনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করার সময় এসব কথা বলেন র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
তিনি আরো বলেন, আমরা প্রত্যেক বছর খোলা আকাশের নিচে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করে থাকি। কিন্তু এবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সরকারি নির্দেশনা মতে মসজিদগুলোতে একটা নির্দিষ্ট সময় বিরতিতে একাধিক ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের নামাজকে ঘিরে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মতো র্যাব নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এবার মসজিদে ঈদের নামাজ হওয়ার কারণে দীর্ঘ সময় ধরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে। সেজন্য মসজিদ কমিটি ও মুসল্লিদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মসজিদে আসবেন, লাইন ধরে আসবেন, নামাজ শেষে একটা নির্ধারিত সময় গ্যাপ দিয়ে পরের ঈদের দ্বিতীয় বা তৃতীয় নামাজে জামাতের আয়োজন বা ব্যবস্থা করবেন।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, এবার ঈদে বিনোদন কেন্দ্রে এবং দর্শনীয় স্থানে জমায়েত করা যাবে না। এসব স্থানগুলোতে র্যাবের নজরদারি থাকবে। জমজমাট উদযাপন না হয়, অন্য কোনও ঈদে করা যাবে। কেউ অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির অপতৎপরতার চেষ্টা করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে বলে জানান তিনি।
করোনার সংকটের মধ্যে ঈদের নামাজ ঘিরে কোনো হুমকি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই সংকটময় মুহূর্তে র্যাব তাদের দায়িত্ব পালনে পিছপা হয়নি বরং চলমান যে প্রক্রিয়া সেটা আরও গতিশীল ও ত্বরান্বিত রেখেছে। যে কোনো সন্ত্রাসী, উগ্রবাদী কিংবা জঙ্গি গোষ্ঠীর অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির অপতৎপরতা কঠোরভাবে দমন করা হবে। সেজন্য র্যাবের গোয়েন্দা টিম কাজ করছে, নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। উসকানি, নাশকতামূলক ও জঙ্গি অপতৎপরতা বন্ধে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে। র্যাবের সাইবার টিম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটরিং করছে। এছাড়া, র্যাবের রিজার্ভ ফোর্স, বোম ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন