প্রয়োজন হলেই শুধু শক্তি প্রয়োগ করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
র্যাব ডিজি হিসেবে দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন শেষে আইজিপি হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে এই মতবিনিময় করেন তিনি।
নিষেধাজ্ঞার কারণে র্যাবে ডিজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করাটা কঠিন সময় ছিল কিনা এবং এ কারণে বন্দুকযুদ্ধ ও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে কিনা জানতে চাইলে র্যাব ডিজি বলেন, আমরা তা মনে করি না।
বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন তোমরা এদেশের পুলিশ, এদেশেরই নাগরিক। আমাদের দেশের মানুষের বিরুদ্ধে কেন আমরা দাঁড়াবো? যখন আমরা আক্রান্ত হই, মাদক, অস্ত্র উদ্ধার, মানবপাচারকারী, যখন আমাদের ওপর আক্রমণ করে তখন আমরা প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।
সম্প্রতি বন্দুকযুদ্ধ কমে গেছে, তাহলে র্যাবের ওপর হামলা কমে গেছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেখানে যেটুকু প্রয়োজন সেটুকুই আমরা শক্তি প্রয়োগ করি। সিচুয়েশন যে ডিমান্ড করে সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।
মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ স্বত্ত্বেও মাদক ও মাদকসেবী বাড়ছে। তাহলে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান ব্যর্থ কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাব ডিজি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা যে যুদ্ধ করছি সেটা বৈশ্বিক যুদ্ধ, এই যুদ্ধ শুধু আমরা না, বিশ্বজুড়েই চলছে। আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাজের কারণে কারাগারে যে আসামি তার বেশিরভাগই মাদকের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের পর যেখানেই মাদক সেখানেই সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। শুধু র্যাব নয়, সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই তাদের ধরছে।
মাদকের বিষয়ে সবার ঘর থেকেই সচেতনতা দরকার। সন্তান কোথায় যাচ্ছে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে অভিভাবকদের। ডিমান্ড অ্যান্ড সাপ্লাই একটার সঙ্গে আরেকটা জড়িত। এটা বন্ধে আমরা কাজ করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন