শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

করোনা ও ঘূর্ণিঝড়ে অসহায়দের পাশে সেনাবাহিনী

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০২০, ৫:৩৬ পিএম

কক্সবাজারে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই সুপার সাইক্লোন ´আম্ফান´ পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবিলায় সার্বিক ত্রাণ, উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তা কার্যক্রম হাতে নিয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের দিক-নির্দেশনায় আগে থেকেই সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশন সমগ্র কক্সবাজার ও রোহিঙ্গা 

ক্যাম্পে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল বলে জানা গেছে ।

ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও বাঁধ পুনঃনির্মাণে স্থানীয়দের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন সেনা সদস্যরা। পাশাপাশি দুর্যোগ উপদ্রুত এলাকাগুলোতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের জন্য রামু সেনানিবাসের ১০টি মেডিক্যাল টিম গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে একযোগে কাজ করছেন এবং প্রয়োজনীয় রসদ ও ত্রান পৌঁছে দিচ্ছে দুর্গতদের ঘরে ঘরে।

এছাড়া ঘূর্ণিঝড় আম্ফান পরবর্তী সময়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে কক্সবাজারে দুর্গত ও করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন অসহায় মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী এবং কাঁচাবাজারের চাহিদা পূরণ করতে সেনাবাজারের আয়োজন করে বৃহষ্পতিবার এক হাজার পরিবারের মধ্যে ঈদের খুশি ছড়িয়েছেন সেনাসদস্যরা।

কক্সবাজার জেলা এবং বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলার চারটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার লোহাগারা উপজেলার বড়হাতিয়া, পেকুয়া রাবার ড্যাম, খুরুশকুল ইউনিয়ন ও চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের বিভিন্ন দুর্গত এলাকায় সেনাবাহিনী বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত, ভেঙে পড়া ঘরবাড়ির ছাউনি, টিনের চাল, ঘরের বেড়া ইত্যাদি মেরামত করতে দুর্গত লোকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তারা।

কক্সবাজার শহরতলীর খুরুশকুল ইউনিয়নের ‘রাস্তারপাড়া’ এলাকায় কালভার্টের মাটি ধসে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়া রাস্তা মেরামত করার জন্য রামু সেনানিবাসের ৬ ইঞ্জিনিয়ার্সের তত্ত্বাবধানে আজ (২২ মে) দিনব্যাপী কাজ করে রাস্তা ঠিক করা হয়েছে।

এছাড়া সেনাবাহিনীর ১০টি মেডিকেল টিমের মাধ্যমে আজ ২কক্সবাজার জেলার ডেলা, শুটকি পাড়া, খুরুশকুল সহ কক্সবাজার শহরের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশেষ মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করে সহস্রাধিক দুর্গত ও অসহায় মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ বিতরণ করেছে সেনাবাহিনী।

ওদিকে ৩৪ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গত ১৮ই মে সোমবার প্রায় ১০ হাজার প্রশিক্ষিত রোহিঙ্গা ভলান্টিয়ারদের নিয়ে সেনাবাহিনী ব্যাপক আকারে মহড়া কার্যক্রম পরিচালনা করে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঘূর্ণিঝড় ´আম্পান´ তাণ্ডবে ঝড়ো বাতাসে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ির বেড়া, চালা মেরামত করতে সেনাবাহিনী সাধারণ রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

পাশাপাশি জেলা প্রশাসন, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন, বিভিন্ন এনজিও এবং আইএনজিও সমূহের সাথে রোহিঙ্গাদের দুর্যোগ পরবর্তী সার্বিক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী প্রতিনিয়ত সমন্বয় করে চলেছে ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন