শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ঝড়-বজ্রবৃষ্টির আভাস আজও

বিশেষ সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৮ মে, ২০২০, ১১:৩১ এএম

  • দেশজুড়ে অঝোর বর্ষণে অচেনা জ্যৈষ্ঠ
  • সাগর উত্তাল বন্দরে ৩ নম্বর সঙ্কেত
  • নদী বন্দরসমূহে ২ নম্বর নৌ হুশিয়ারি


দেশের অনেক জায়গায় ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টির আভাস রয়েছে আজ বৃহস্পতিবারও। আবহাওয়া বিভাগ জানায়, উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতাম্যে আধিক্য এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের বর্ধিতাংশ- এই দুই প্রভাব যোগ হয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ বৃষ্টি-বজ্রসহ বৃষ্টিপাত এবং ঝড় ও বজ্রবৃষ্টির প্রকোপ বেড়ে গেছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশে বৃষ্টি-বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বজায় থাকতে পারে এমনটি পূর্বাভাস।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে অঝোর বর্ষণে বর্ষাকালীন অবস্থা তৈরি হয়। অচেনা রূপ নেয় ভরা গ্রীষ্মের জ্যৈষ্ঠ। তাপমাত্রা ব্যাপক হ্রাস পায়। শীতল বৃষ্টিতে স্বস্তি থাকলেও বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝড়, বজ্রপাত, হিমেল হাওয়া, ভারী বর্ষণে পানিবদ্ধতার কারণে জনদুর্ভোগ বিরাজ করছে।
এদিকে আবহাওয়া বিভাগের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র আজ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য পূর্বাভাসে জানায়, খুলনা, বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ী ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এসব এলাকার নদী বন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ হুশিয়ারি সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদী বন্দরসমূহকে এক নম্বর সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপে তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখানো হচ্ছে।
অন্যরূপে জ্যৈষ্ঠ-
জ্যৈষ্ঠ মাস মাঝামাঝি। ভরা গ্রীষ্ম কাল। অথচ গেল ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নামলো ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বুধবার রাজধানী ডুব-ভাসি করে ১০৩ মিলিমিটারের অতি ভারী বর্ষণে। সাথে প্রচণ্ড কালবৈশাখী ঝড়, বজ্রপাত, হিমেল বাতাসের ঘা। বুধবার রাত অবধি দেশজুড়ে অঝোর বর্ষণে ও বজ্রবৃষ্টিতে পুরোদস্তুর বর্ষাকালীন অবস্থা বিরাজ করে। এ সময় দিনাজপুরে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ১৬০ মিলিমিটার। অমাবস্যার প্রভাব থাকায় সমুদ্রের প্রবল জোয়ারে প্লাবিত হয় উপকূল, চর ও দ্বীপাঞ্চল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন