ভারতে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে পঞ্চম দফায় বাড়ানো হলো লকডাউনের মেয়াদ। এসময় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ছাড়া অন্যান্য স্থানে শপিংমল, রেস্টুরেন্ট এবং উপাসনালয় আগামী ৮ জুন থেকে খোলার অনুমতি দিয়েছে দেশটির সরকার। আস্তে আস্তে বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন শিথিল করে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
শনিবার ভারতে রেকর্ড সংখ্যক নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ দিনই কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ভারতের কনটেনমেন্ট জোনে লকডাউন চলবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত। এ নিয়ে দেশটিতে দেশটিতে পঞ্চম মেয়াদে লকডাউন বাড়ানো হলো। এর আগে চতুর্থ মেয়াদে ঘোষিত লকডাউন শেষ হয়েছে আজ রোববার। দেশটিতে লকডাউন শুরু হয়েছিল গত ২৫ মার্চ থেকে।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ও মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করতে বিভিন্ন এলাকাকে কয়েক ক্যাটেগরিতে ভাগ করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে রেড জোন এলাকাগুলোতে বিধি-নিষেধে আরও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া কমঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সেখানে সবকিছু ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করার কথা জানানো হয়েছে।
ভারতীয় সরকার এবারের লকডউনে বেশ কিছু বিষয়ে ছাড় দিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো- আগামী ৮ জুন থেকে ভারতের সব রাজ্যে খুলে দেয়া হবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, শপিংমল এবং বারও খুলে দেয়া হবে। কনটেনমেন্ট এলাকা লকডাউনের আওতায় থাকবে। ভারতীয় প্রশাসন আরো জানিয়েছে, রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত যথারীতি কারফিউ থাকবে।
সম্প্রতি বিশেষ ট্রেন ও ফ্লাইটে ভারতজুড়ে নাগরিকদের চলাচল এবং লকডাউনের কিছু বিধি-নিষেধ শিথিল করার পর করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যায়। অনেক রাজ্য আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার কারণ হিসেবে অন্য রাজ্য থেকে মানুষ আসাকেও দায়ী করছে। সূত্র: রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন