আগামী ১ জুলাই সংবিধান সংশোধনের প্রশ্নে রাশিয়াজুড়ে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লালাদিমির পুতিন এই তথ্য জানিয়েছেন।
গত ২২ এপ্রিল এই ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পুতিন তা পিছিয়ে দেন। তিনি জানান, জনগণের স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা তার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে রাশিয়ায় করোনার সংক্রমণ এখন নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে, ফলে রাষ্ট্রীয়ভাবে ভোট আয়োজনের জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের অনুমতি দেয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছেন পুতিন। এই ভোটে যদি রাশিয়ার জনগণ সংবিধান সংশোধনের পক্ষে সমর্থণ জানায় তবে, ২০৩৬ পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে আসীন থাকার সুযোগ সৃষ্টি হবে পুতিনের জন্য।
সংবিধানের যে বিষয়টি পরিবর্তনের জন্য রাশিয়ানরা ভোট দিতে যাচ্ছে তা ইতিমধ্যে সংসদ এবং রাশিয়ার সাংবিধানিক আদালতে গৃহীত হয়েছে। এই পরিবর্তনের ফলে পুননির্বাচিত হলে পুতিন পর পর দুইবার ছয় বছর করে ২০৩৬ সাল পর্যন্ত মোট ১২ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন।
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত সরকারি আলোচনায় পুতিন বলেন, আমি আশা করছি দেশের জনগণ সক্রিয়ভাবে সংবিধান সংশোধনীর ভোটে অংশগ্রহণ করবে। সংবিধানের বর্তমান আইন অনুযায়ী ২০২৪ সালে পুতিনের মেয়াদ শেষ হবে। এরপর তিনি আর ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। তবে সমালোচকরা এই ভোটকে সাংবিধানিক অভ্যুত্থান হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং কারচুপির আশঙ্কা করছেন। তারা ভোটারদের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করতে বা ভোট না দেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
লিউবভ সবোল নামের একজন সমালোচক বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ১ জুলাই গণভোট আয়োজন খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। তবে ক্রেমলিনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভোটারদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তারা সব রকমের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সূত্র : আল-জাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন