দেখতে দেখতে বছর পূর্ণ হল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। তবে এখনও সংঘাত থামার কোনও লক্ষণ নেই। বিশ্বায়নের যুগে হাজার হাজর কিলোমিটার দূরের এই রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের আঁচ ভালই পড়ছে ভারতে। কূটনীতির দড়িতে ভারসাম্যের কঠিন খেলায় নামতে হয়েছে মোদি সরকারকে। এমন পরিস্থিতিতে দিল্লিতে জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের আগেই পশ্চিমের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে রাশিয়া।
এ বছর জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতি ভারত। কাল বৃহস্পতিবার দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বৈঠক। সেখানে হাজির থাকবেন আমেরিকার পররাষ্ট্রসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এদিকে, বৈঠকে যোগ দিতে মঙ্গলবার রাতেই ভারতে পৌঁছেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। এমন পরিস্থিতিতে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলেছে, “ক্ষমতা হারিয়ে বদলা নিতে ফুঁসছে পশ্চিম। ওদের হাত থেকে নিয়ন্ত্রণ চলে যাচ্ছে। আমেরিকা ও তার মিত্রদেশগুলির ধ্বংসাত্মক নীতি পৃথিবীকে বিপর্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।”
বলে রাখা ভাল, গত বছরের জুলাই মাসে বালিতে জি-২০ বৈঠকে শেষবারের মতো মুখোমুখি হয়েছিলেন ব্লিঙ্কেন ও লাভরভ। সেবার নাকি রেগেমেগে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন রুশ বিদেশমন্ত্রী। তারপর, ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে ভারতের জমিতে জি-২০ বৈঠকে ফের এক টেবিলে বসবেন দু’জনে। ফলে আমেরিকা ও রাশিয়া দুই মিত্র দেশকে সামাল দিতে হিমশিম খেতে হতে পারে দিল্লিকে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
উল্লেখ্য, জি-২০ সম্মেলনকে অযথা অস্থির করে তুলছে পশ্চিমি দেশগুলি বলে দিনকয়েক আগে অভিযোগ করে রাশিয়া। ইউক্রেন যুদ্ধের নিন্দা করে জি-২০ বৈঠকে একটি বিবৃতি দেওয়ার প্রস্তাব দেয় কয়েকটি দেশ। সেখানে সই করতে রাজি হয়নি রাশিয়া ও চীন। এই নিয়ে তীব্র মতবিরোধ শুরু হয় বেঙ্গালুরুর জি-২০ অর্থমন্ত্রীদের সম্মেলনে। তারপরেই রাশিয়ার মঙ্গলবার রাতেই ভারতে পৌঁছেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। এমন পরিস্থিতিতে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, আসলে ভারতকে ব্ল্যাকমেল করতে চাইছে পশ্চিমি দেশগুলি। নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছে তারা। সূত্র: টাইমস নাউ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন