করোনাভাইরাসের কারণে ভারতে ইতোমধ্যে বেকার হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। বন্ধ হয়ে গেছে অনেক প্রতিষ্ঠান।
২৫ মার্চ থেকে ভারতে একটানা লকডাউন চলছে। এতে বিপাকে পরেছেন দেশটির অভিবাসী শ্রমিকরা। তারা বাধ্য হয়েছেন পায়ে হেটে নিজের রাজ্যে ফেরার চেষ্টা করতে। তবে এতে ঘটেছে ব্যাপক প্রাণহানি। ভারতের একটি দাতব্য সংস্থার হিসেবে পায়ে হেটে নিজ নিজ রাজ্যে পৌছার চেষ্টাকালে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২০০ শ্রমিক মারা গেছে। মঙ্গলবার এক পরিসংখ্যানে এ দাবি করা হয়। এতে বলা হয়, আকস্মিকভাবে লকডাউন আরোপ করার পর ভারতের বড় বড় শহরগুলোতে চাকরি হারায় হাজার হাজার শ্রমিক। মার্চের শেষ দিক থেকে গণপরিবহনও বন্ধ করে দেয়া হয়।
সেভলাইফ ফাউন্ডেশন নামের ওই সংস্থাটির দাবি, ২৫ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সারা দেশে ১,৪০০ এরও বেশি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৫০ জন নিহত হয়। এদের মধ্যে ১৯৮ জন অভিবাসী শ্রমিক। ভারতে সড়ক নিরাপত্তা ও জরুরি সেবা জোরদার করতে এই ফাউন্ডেশন কাজ করছে। সংগঠনটি জানায়, প্রচণ্ড রোদের মধ্যে হাটা, সাইকেল চালানো এবং বাস বা ভ্যানে করে চলার সময় অভিবাসীরা মারা যায়। এছাড়া রয়েছে রাজ্যের ব্যবস্থাপনার বাসগুলোতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। গতি ও চালকদের ক্লান্তিকে এর জন্য দায়ি।
উল্লেখ্য, এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভারতের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান এখন সপ্তম। ১.৩ বিলিয়ন মানুষের দেশটি এরপরও লকডাউন শিথিল করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন