করোনার হট স্পট চট্টগ্রামের হাসপাতালে শয্যা পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত সরকারি হাসপাতালে ঠাঁই নেই। বেসরকারি হাসপাতালেও মিলছে না শয্যা। এতে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্বাসকষ্টসহ জটিল রোগীরা। মধ্যরাতে হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল ঘুরেও মিলছে না শয্যা। চিকিৎসা ছাড়াই রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৯০ এর কাছাকাছি। উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এক চিকিৎসকসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। চমেক হাসপাতালে মারা যান জরুরি বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার মুহিদ হাসান। জেনারেল হাসপাতালে মারা যান সেলিনা আফরোজ ও হাফসা বেগম নামে দুই মহিলা। উপসর্গ নিয়ে মারা এক পুলিশ সদস্যের নমুনায়ও করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন দুই আওয়ামী লীগ নেতা।
এদিকে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শয্যা বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। সমন্বয়ের অভাব, লোকবল সঙ্কটসহ নানা কারণে চিকিৎসা সেবায় শৃঙ্খলা আসছে না। হলি ক্রিসেন্ট এবং সিআরবি রেলওয়ে হাসপাতাল এখনও আইসোলেশন হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হলেও হলি ক্রিসেন্টে কর্মচারী নিয়োগ না দেওয়ায় চিকিৎসা শুরু হচ্ছে না। অথচ সেখানে আইসিইউ সুবিধাও আছে। সরকারের দেয়া সময়সীমা গতকাল শেষ হলেও চিকিৎসার জন্য ইমপেরিয়াল ও ইউএসটিসি প্রস্তুত হয়নি। দুটি হাসপাতালে চিকিৎসক ও লোকবল সঙ্কট আছে। কবে হাসপাতাল দুুটিতে চিকিৎসা শুরু হবে তা অনিশ্চিত। বেসরকারি হাসপাতালগুলো করোনা চিকিৎসা দিচ্ছে দাবি করলেও আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ছাড়া কোন হাসপাতালে রোগীরা ভর্তি হতে পারছেন না। সংক্রমণ বিপজ্জনকহারে বাড়ছে, সে তুলনায় প্রস্তুতি এখনও অপ্রতুল। শয্যাসহ চিকিৎসা সেবায় সঙ্কট নিয়ে জনমনে উদ্বেগ-শঙ্কা বেড়েই চলেছে। করোনা টেস্টেও গতি নেই। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা শুরু হতেই বন্ধ করে দিতে হয়েছে। সেখানে যে কিট দেওয়া হয়েছে তাতে গলদ ধরা পড়ে। টেস্টে সব নমুনায় করোনা পজেটিভ আসছিলো। তাই টেস্ট বন্ধ করে কিট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ফেরত পাঠানো হয়েছে। প্রায় ২০০ নমুনা সেখানে জমা হয়। গতকাল চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবসহ নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে ছয়টি নমুনা সংগ্রহ বুথের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন