ঘরের বাহিরে বের হলেই প্রচন্ড গরমে ঘাম, রোদের তাপ এবং ধুলোবালি সব মিলে এই বর্ষায় ত্বক আর চুল সতেজ ও সুন্দর রাখা খুবই কষ্টসাধ্য। তবু একটু সচেতন হলে, কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললেও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে আপনার শরীরের ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল মসৃণ আর সুন্দর।
বর্ষা মৌসুমে শরীরের সব অংশের ত্বকের জন্য দরকার বাড়তি পরিচর্যা। অসচেতন থাকলে ত্বকে হয়ে যেতে পারে মারাত্মক সমস্যাÑ
ত্বকের যতেœ ক্লিনজিং : ১. কাজের প্রয়োজনে ঘরের বাইরে আর বাড়িতে যেখানেই থাকুন না কেন, সুযোগ পেলেই বার বার মুখম-লে ঠা-া পানির ঝাপটা দিয়ে মুখ ধুতে হবে। ২. কাজ শেষে ঘরে ফিরে অবশ্যই সোপ ফ্রি ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখম-ল ভালোভাবে ধুয়ে নেবেন। ৩. দিনে ২ বার ক্লিনজার মিল্ক, ক্রিম লাগিয়ে ভেজা তোয়ালে দিয়ে চাপ দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। তেলাক্ত ত্বকে ক্লিনজিং বেশি দরকারী।
ফ্রেশনিং : পাতলা পরিষ্কার কাপড়ের টুকরা অ্যাস্ট্রিজেন্টে ভিজিয়ে মুখে লাগাবেন। শসা ও লেবুর রস ফ্রেশনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ১০ মি. পর ঠা-া পানি দিয়ে ধুয়ে নেবেন।
ময়শ্চারাইজিং : ১ দিন পর পর ময়শ্চারাইজার লাগাবে না শুষ্ক ত্বকের জন্য ময়শ্চারাইজিং বেশি দরকারী। তৈলাক্ত ত্বকে ক্রিম ব্যবহার না করে অয়েল ফ্রি ময়শ্চারাইজার লাগাবেন।
কন্ডিশনিং : বিভিন্ন ক্রিম, লোসন বা প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে ত্বকের পুষ্টি সাধন করে ত্বককে উজ্জ্বল ও সুন্দর করে তুলতে কন্ডিশনিং করা হয়। কন্ডিশনার রাতে ঘুমাতে যাবার আগেই ব্যবহার করা সবচেয়ে কার্যকর। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য মধু ম্যাসাজ করে কন্ডিশনিং করতে পারেন। ২০ মিনিট পর ত্বক ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক, স্বাভাবিক ও মিশ্র ত্বকে অলিভ অয়েল, মাখন, দুধ কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
মাস্ক ও ফেসপ্যাক : ফেস প্যাক বা মাস্ক যাই ব্যবহার করুন না কেন আপনার ত্বকের ধরন বুঝে করবেন অর্থাৎ আপনার ত্বক শুষ্ক, তৈলাক্ত, মিশ্র না স্বাভাবিক বুঝে। যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা সপ্তাহে দুইবার ফেস প্যাক ও মাস্ক ব্যবহার করবেন, আর শুষ্ক, স্বাভাবিক ও মিশ্র ত্বক সপ্তাহে একবার। বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ফেস প্যাক ও মাস্ক প্রস্তুত করা হয় বলে কোনো প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল, কোমল ও সুন্দর।
য় রীমা জুলফিকার
বিউটিশিয়ান, চেয়ারপার্সন, গৃহ সুখন,
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন