শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সংসদে ভিন্ন পরিবেশ

পঞ্চায়েত হাবিব | প্রকাশের সময় : ১২ জুন, ২০২০, ১২:০০ এএম

দেশের সংসদীয় ইতিহাসে একটি অনন্য নজির সৃষ্টি হলো। করোনা পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থায় এবার বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে জাতীয় সংসদে। চিরাচরিত ব্যাপক উপস্থিতি এবার দেখা যায়নি এমপিদের। অধিবেশনে যারা উপস্থিত ছিলেন তারা সবাই মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস পড়ে ছিলেন।

অধিবেশন উৎসবমুখর হয়নি। অতীতের মতো কোন রাজনৈতিক দলের বর্জন ছিল না। দেশের ৪৯তম বাজেট অধিবেশনে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে উপস্থিত থাকলেও বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ সংসদে যাননি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে স্পিকার শিরিন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। এরপরই স্পিকার ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট পেশ করতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে আহŸান জানান। অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামাল দ্বিতীয়বারের মতো বাজেট পেশ করলেন। গতবছর বাজেট পেশ করার সময় তিনি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। বাজেট উপস্থাপনের এক পর্যায়ে তিনি অসুস্থ বোধ করলে বাজেট বক্তৃতার বাকি অংশ পড়ে শোনান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সংসদে আগামী অর্থবছরের বাজেট পেশের আগে অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতা সংক্ষিপ্ত করার অনুমতি চান এবং কিছু অংশ পঠিত বলে গণ্য করার অনুরোধ জানান। স্পিকার অনুমতি দেন। অর্থমন্ত্রী তাঁর সংক্ষপ্তি বাজেট বক্তৃতার কিছু অংশ ডিজিটাল পদ্ধতি উপস্থাপন করেন। এবারের বাজেটের আকার ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। বাজেটের স্লোগান হচ্ছে ‘অর্থনৈতিক উত্তোরণ ও ভবিষ্যত পথপরিক্রমা’। এর আগে ৪৯তম বাজেট মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার এই বিশেষ বৈঠক হয় জাতীয় সংসদের মন্ত্রিসভা কক্ষে। করোনাভাইরাসের কারণে এই বৈঠক হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থায়। মন্ত্রিসভার মাত্র ১১ জন সদস্য অংশগ্রহণ করেন। ছিলেন কয়েকজন সিনিয়র সচিব ও সচিব।

প্রতিবছর বাজেট অধিবেশনে সকল রাজনৈতিক দলের এমপিরা অংশ গ্রহণ করে থাকেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার অল্প সংখ্যক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও এমপি অংশ নিয়েছেন।

করোনার কারণেই আগে থেকেই ৮০-৯০ জন এমপিদের বেশি উপস্থিতি না রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশপাশে কয়েকটি আসন ফাঁকা রাখা হয়। অন্য মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং এমপিরাও পর্যাপ্ত দূরত্ব বজায় রেখে বসেছিলেন।

স্বাভাবিক সময় বাজেট অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ গণ্যমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। এবার কাউকে দাওয়াতও দেওয়া হয়নি। এমনকি সংবাদ সংগ্রহের জন্য সংবাদকর্মীদের গ্যালারিতে যাওয়ার সুযোগ রাখা হয়নি। সাংবাদিক ও দর্শক গ্যালারী ছিল একেবারে ফাঁকা। যে সব মন্ত্রী-এমপি অংশ নিয়েছেন, তাদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও সংসদ ভবনে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। প্রতিবার বাজেট সংক্রান্ত দলিলাদি সংসদের ভেতর থেকে গণমাধ্যমে বিতরণ করা হতো। এবার ভবনের বাইরে মিডিয়া সেন্টার থেকে বিতরণ করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন