শিশুকন্যাকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগে সৎমাকে আটক করা হয়। অভিযুক্ত সৎমা রিনা আক্তার (২৬) শিশুকে হত্যা করে ডোবায় ফেলে দেয়। এদিকে প্রচার করে পানিতে ডুবে নিহত হয়েছে।
গত শুক্রবার রাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের মাজালিয়া গ্রামের নিজবাড়ি থেকে থানা পুলিশ তাকে আটক করে। গতকাল শনিবার দুপুরে তাকে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১০ জুন রাত ৮টার দিকে মাজালিয়া (ভূঁইয়াপাড়া) গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে কনা আক্তারকে (৪) ঘরের পাশের ডোবায় পড়ে থাকতে দেখে বাড়ির লোকজন। শিশুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার সৎমা রিনা আক্তার শিশুটি পানিতে পড়ে মারা গেছে, মর্মে এলাকায় প্রচার করে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় সৎমাকে ঘিরে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরে শিশুটির বাবার মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে গত শুক্রবার রাতে সৎমাকে পুলিশ আটক করে থানায় নেয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ওসি আবু মো. ফজলুল করীম জানান, শিশু কনা আক্তার পানিতে পড়ে মারা যায়নি, তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে সৎমা রিনা আক্তার পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সৎমা শিশুটিকে গলাটিপে হত্যার করে। পরে লাশ ডোবায় ফেলে দেয়। এ ব্যাপারে শিশুটির বাবা আবুল কালাম বাদি হয়ে স্ত্রীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
আবুল কালাম জানান, দু’বছর আগে প্রথম স্ত্রী মারা যান। তারপর তিনি রিনা আক্তারকে বিয়ে করেন। তার গর্ভে কোনো সন্তান না হওয়ায় সে প্রথম স্ত্রীর সন্তানকে সহ্য করতে পারতো না। এ আক্রোশে সে তার মেয়েকে গলাটিপে হত্যা করে লাশ পানিতে ফেলে দেয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন