শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

এবার দেপসাং ভ্যালিতে চীনা সেনারা : আনন্দবাজারে প্রতিবেদন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০২০, ৩:২৫ পিএম

কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গালওয়ান ভ্যালি ও প্যাংগং লেকের পরে দেপসাং ভ্যালিতেও চলে এসেছে চীনা সেনাবাহিনী। বেইজিং এবার সামরিক শক্তি দিয়ে ভারতের এলাকা কব্জা করার চেষ্টা করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে দিল্লি। ভারতীয় সেনা সূত্রের বরাত দিয়ে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে পত্রিকাটি।–সাউথ এশিয়ান মনিটর

গালওয়ান উপত্যকায় সম্প্রতি চীনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের ২০ সেনা সদস্যের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আরও অন্তত ৭০ জন সেনা। এই সংঘর্ষকে ঘিরে ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে গালওয়ান উপত্যকাকে নিজেদের বলে দাবি করেছে বেইজিং। তবে চীনের এই দাবিকে অগ্রহণযোগ্য বলেছে ভারত।

জম্মু-কাশ্মীরে সেনার ১৬ কোরের সাবেক কমান্ডার ও অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল রামেশ্বর রায় আনন্দবাজার পত্রিকাকে বলেছেন, ‘এতদিন চীনের পক্ষে দেপসাং ভ্যালিতে ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকা মুশকিল ছিল। কারণ, পাহাড়ের ওপরে দৌলত বেগ ওল্ডি বিমানঘাঁটি থেকে ভারত ওই এলাকায় কর্তৃত্ব করে। কিন্তু এখন চীনের সেনা দেপসাং ভ্যালির দক্ষিণে, গালওয়ান ভ্যালিতে পাহাড়ের মাথায় চলে এসেছে। অপরদিকে প্যাংগং লেকের মধ্যে ঢুকে আসা ফিঙ্গার ফোর নামক পাহাড়ের মাথাতেও চীনের সেনা ঘাঁটি গেড়ে বসেছে।'

ভারতীয় সাবেক এই সেনা কমান্ডারের আশঙ্কা, এরপরে চীন দেপসাংয়েও সামরিক শক্তি বাড়াতে শুরু করবে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেপসাং ভ্যালি থেকে একেবারে নিচে ডেমচক পর্যন্ত কর্তৃত্ব করার ক্ষমতা চীনের রয়েছে।

আনন্দবাজার পত্রিকা সেনা সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলছে, সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের এই আশঙ্কা একেবারেই অমূলক নয়। কারণ দেপসাংয়ে ইতোমধ্যেই সেনার সংখ্যা বাড়াতে শুরু করেছে চীন। সেখানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘন করেছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন এলাকায় সেনার সঙ্গে ট্যাঙ্ক, কামানও মোতায়েন করতে শুরু করেছে। ওই এলাকায় দ্রুত সেনা মোতায়েনের জন্য রাস্তাও তৈরি করছে চীন।

অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল রায়ের এ বিষয়ে ভাষ্য, দারবুক থেকে শিয়ক হয়ে দৌলত বেগ ওল্ডি বিমানঘাঁটি পর্যন্ত যে রাস্তা তৈরি হচ্ছে, তা আমাদের এলাকায় হলেও তা চীনের মাথাব্যথার কারণ। চীন পাহাড়ের ওপর থেকে এই রাস্তায় গতিবিধির ওপর নজরদারি করতে চায় বলেই গালওয়ান ঘাঁটির ১৪ নম্বর পেট্রলিং পয়েন্ট সংলগ্ন এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার তোয়াক্কা না করে পাহাড়ের ওপরে চলে এসেছে। সেখান থেকে চীন দৌলত বেগ ওল্ডির দিকে যাওয়া রাস্তায় নজরদারি করতে পারবে। ফলে সামরিক দিক থেকে আমাদের দৌলত বেগ ওল্ডি দুর্বল হয়ে পড়ল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন