শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ভারতের সাথে সীমান্ত সংঘাত, যুদ্ধ হলেও পিছু হঠবে না চীন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ অক্টোবর, ২০২১, ৫:৪৬ পিএম

চীন-ভারত সীমান্তের পশ্চিমাঞ্চলের মোলদোতে গত ১০ অক্টোবর কমান্ডারদের বৈঠকের ১৩তম রাউন্ডেও সমঝোতায় আসতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য ভারত এবং চীন উভয়ই একে অপরকে অভিযুক্ত করে।

ভারত বলেছে যে, স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের জন্য চীনা পক্ষের একতরফা প্রচেষ্টা এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তি লঙ্ঘন’ সীমান্ত এলাকায় একটি সমস্যা সৃষ্টি করেছে। চীনা পক্ষ এই সমস্যার সমাধানের জন্য কোন ‘দূরদর্শী প্রস্তাব’ প্রস্তাব করেনি। অন্যদিকে, চীনা পক্ষ ভারতকে ‘অযৌক্তিক এবং অবাস্তব দাবি’ করার জন্য অভিযুক্ত করেছে এবং আশা করেছে ভারত সীমান্ত এলাকায় ‘পরিস্থিতি নিয়ে ভুল বুঝবে না’। চীন যুক্তি দিচ্ছে যে, গত বছরের মার্চ থেকে ভারতের দাবি করা অঞ্চলে তার সৈন্যরা ঢোকার পর ভারতকে অবশ্যই সীমান্তে বর্তমান অবস্থা মেনে নিতে হবে। এটি এমন একটি সংকেতও পাঠাচ্ছে যে, যুদ্ধে যাওয়ার বা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিন্যাস পরিবর্তনের বিনিময়ে হলেও চীন এক চুলও পিছু হঠতে রাজি নয়।

চীনা সংস্করণ অনুসারে, চীন ভারতের কাছ থেকে ‘যুক্তিসঙ্গত’ভাবে ১৯৫৯-এর আকসাই চীনের ঝাউ এনলাই লাইনের স্বীকৃতি চাইছে, যা তার বারবার প্রত্যাখ্যান করে আসছে। এটি ১৯৫৪-৫৭ সালে নির্মিত হাইওয়ের কয়েকশ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কয়েকশ’ বর্গকিলোমিটার ছেড়ে কারাকোরাম রেঞ্জ এবং ডিপসাং সমভূমির দক্ষিণে অবস্থিত অঞ্চল। অন্য কথায়, চীন জানিয়ে দিচ্ছে যে, তারা নতুন যে অবস্থানে রয়েছে, কোন মূল্যেই সেখান থেকে পিছু হঠবে না।

সাম্প্রতিক চার দশকের অর্থনৈতিক ও সামরিক উত্থানে অর্জিত সামরিক শক্তির পার্থক্যের স্বীকৃতির ভিত্তিতে চীন ভারতকেও বোঝাচ্ছে যে, তাকে বেইজিংয়ের প্রতি সমর্থন দিতে হবে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আউটলেট গ্লোবাল টাইমস বলেছে যে, ভারত ‘যেভাবে চাইবে, সেভাবেই সীমান্ত পাবে না’ এবং তার ‘অবাস্তব দাবি, (বাস্তব) পরিস্থিতি বা তার শক্তির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়’।

চীন যে তার দখলকৃত এলাকা খালি করতে বা সামরিকীকরণ প্রক্রিয়া থামাতে রাজি নয়, তা তারা সম্প্রতি যে প্রস্তুতি নিচ্ছে তা থেকে স্পষ্ট। চীন পশ্চিমাঞ্চলের সিরিজাপ, মোল্ডো থেকে রুটোক পর্যন্ত ক্যাম্প নির্মাণে প্রয়োজনীয় সামগ্রী আনিয়েছে। যা ইঙ্গিত দেয় যে, চীন সীমান্ত এলাকায় স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনা করছে। এছাড়াও, তিব্বতে ২০১৭ সাল থেকে তারা যে ৬২৮ টি ‘উন্নত গ্রাম’ নির্মাণ শুরু করেছে, তার মধ্যে ২০০টিরও বেশি ভারতের সাথে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার মধ্যে চলে আসে। এগুলো যেমন অরুণাচল প্রদেশের লোহিত জেলায়, ভারতের দাবি করা অঞ্চলের মধ্যে অথবা ভুটান ও নেপালে। সূত্র: দ্য কুইন্ট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন