দেশের মানচিত্রের উত্তর সীমান্তের চার নদীর উপজেলা ভূরুঙ্গামারীতে বর্ষার অবিরাম ধারা ঝরছে গত কয়েক দিন। বৃষ্টিতে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঘর থেকে বেরুতে না পারায় দিন এনে দিন খাওয়া প্রান্তিক কৃষক এবং শ্রমজীবী মানুষেরা পরিবার নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন বেশি। উজান থেকে পাহাড়ী ঢল নেমে আসতে শুরু করায় নদ-নদীগুলোতে পানি বাড়ছে। নদী ভাঙ্গছে । অব্যহত ভাঙ্গনে ঘরবাড়ী সরিয়ে নেয়ার সময় পাচ্ছেনা নদীপাড়ের মানুষ। টইটুম্বুর হয়ে পরেছে ফুলকুমার। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত করে কালজানি, গদাধর, দুধকুমার নদীর পানি বইছে বিপদসীমার খুব কাছ দিয়ে। ডুবে গেছে নদী সংলগ্ন এলাকার প্রায় সব বীজতলা, পাটক্ষেতগুলো ডুবে আছে গলায় গলায় পানি নিয়ে। মাথায় হাতে উঠে গেছে কৃষকের।
বন্যাআতঙ্কে শালঝোর, উত্তর/দক্ষিন ধলডাঙ্গা, দক্ষিন তিলাই, দক্ষিন ছাট গোপালপুর, নলেয়া, ইসলামপুর, পাইকডাঙ্গা, পাইকেরছড়া, সোনাহাট ব্রীজের এপার ওপার, গনাইরকুটি ,হেলোডাঙ্গা, ধাউরারকুটির মানুষেরা যাপন করছে নিদ্রাহীন রাত।কাজে যেতে পারছে না শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা ।প্রায় স্থবির হয়ে পরেছে জীবনযাত্রা, ফলে অনেকেই পরিবার নিয়ে একবেলা খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
তিলাই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফরিদুল হক শাহিন শিকদার, চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফজলুল হক, শিলখুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন ইউসুফের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। যথাযধ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে তারা অপেক্ষা করছেন সরকারী সহযোগিতার।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফিরুজুল ইসলাম ফিরোজ এ প্রসঙ্গে বলেন, আমি সাম্ভাব্য উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শন করে যাচ্ছি এবং প্রস্তুত আছি যে কোন প্রতিকুল পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন