জয়রাজ এবং তার ছেলে জে বেনিকস-এর মৃত্যুতে ফুঁসছে সমগ্র ভারত। এই ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকি পুলিশি হেফাজতে পি জয়রাজ এবং তার ছেলে জে বেনিকসের মৃত্যুর ঘটনাকে জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার সঙ্গেও তুলনা করছেন অনেকে।
কোভিড কারফিউ ভঙ্গ করার ‘অপরাধে’ পুলিশি অত্যাচারে পি জয়রাজ এবং জে বেনিকসের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কারোর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়নি। তুতিকোরিনের সাথানকুলাম শহরে এই বাবা-ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী, এদের পুলিশি হেফাজতে দেয়ার জন্য ফিট সার্টিফিকেট দেয়া সরকারি ডাক্তার, এদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়া ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলকর্মী কারোর বিরুদ্ধেই কোনও আইনি ব্যবস্থা নেয়নি তামিলনাড়ু সরকার।
সাথানকুলাম পুলিশ এর আগেও এই মাসের গোড়ার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুলে নিয়ে গিয়ে এক ব্যক্তিকে খুন করে বলে অভিযোগ। আরও এক কোভিড কারফিউ ভঙ্গকারীকে মেরে তার কিডনি বিকল করে দিয়েছে বলেও অভিযোগ এখানকার পুলিশের বিরুদ্ধে। ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ান পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হন। এ ঘটনায় পুলিশের নিন্দা করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। এ ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও। ট্যুইট করে এই ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলেছেন তিনি।
পি জয়রাজ এবং তার ছেলে জে বেনিকসের লাশের ময়নাতদন্তের পর ২৪ ঘণ্টা পরও মৃত্যুর সঠিক কারণ প্রকাশ করা হয়নি। এরা নিজেরাই নিজেদের আহত করেছিলেন বলে পুলিশি এফআইআরে দাবি করা হয়েছে। পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় সুয়ো মোটো নোট নিয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চ করোনা প্যানডেমিকের কারণে পুলিশকর্মীদের ওপর অত্যাধিক চাপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পুলিশকর্মীদের যোগ এবং সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলিং করানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রাজ্য সরকার আদালতের নির্দেশ মেনে চলবে বলে জানিয়েছেন তামিলাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী।
পুলিশের অত্যাচারে পি জয়রাজ এবং তার ছেলে জে বেনিকসের রেকটাম ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে দাবি করেছেন তাদের এক আত্মীয়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনার দাবি করেছেন তারা। এ ঘটনাকে আমেরিকার জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকান্ডের সঙ্গে তুলনা করেছেন গুজরাটের নির্দল বিধায়ক জিগনেশ মেভানি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন