দীর্ঘ বিরতির পর অভিনয়ে ফিরেছেন সুস্মিতা সেন। অভিনয় গুণে প্রসিদ্ধ ছিলেন বলেই এতদিন পরও দর্শকরা তাকে ভুলতে পারেননি। তবে এই সাফল্য পেতে কম কাঠখড় পোহাতে হয়নি অভিনেত্রীকে। বহিরাগত হয়েও মিস ইউনিভার্স খেতাব জেতার জন্য বলিউডে তার পথ খানিকটা মসৃন হয়েছিলো।
সম্প্রতি সুস্মিতা সেন অভিনীত 'আরিয়া' ওয়েব প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে। এতে সিঙ্গেল মাদারের চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়াচ্ছেন তিনি। তবে যখন তিনি পর্দায় কামব্যাক করলেন, তখন স্বজনপোষণ বির্তকে গোটা বলিউড সরগরম।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুতে বলিউড এখন কার্যত দুইভাগে বিভক্ত। নেপোটিজম কিংবা ফেভারিটিজম বিতর্ক নিয়ে শোরগোলের মাঝে সুস্মিতা বলেছেন, 'দেশের নানা প্রান্তের ছোটশহর থেকে এখানে তরুন-তরুনীরা আসেন যারা স্বপ্ন নিয়ে বাঁচেন। এদের মধ্যে কেউ অভিনয়শিল্পী, কেউ পরিচালক আবার কেউবা সৃষ্টিশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে চান। তারা সাফল্যের চূড়ায় পৌছাতে কঠোর পরিশ্রম করতেও প্রস্তুত থাকেন। তবে অনেকেই বিষয়টি তাদের মরিয়া মনোভাব হিসেবে দেখে থাকেন।'
সাবেক এই বিশ্বসুন্দরীর কথায়, 'বলিউডে প্রতিযোগিতার যে বহর, তাতে এই মরিয়া মনোভাবই অনেককে মানসিক চাপে ফেলে দেয়। এখন তো পারফরম্যান্সে কেউ বিশ্বাসী নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় কার কত অনুরাগী, কার কাজ নেটজনতারা পছন্দ করছে এসব নিয়ে মেতে থাকেন সবাই। আর সেসব দিয়েই একজন অভিনয়শিল্পীর বিচার হয়।
সুস্মিতা আরও বলেন, বহিরাগত হলেও মিস ইউনিভার্স খেতাব জেতার জন্যই বলিউডে তার সিনেমার প্রস্তাব আসতে শুরু করে। তিনি কখনোই অভিনেত্রী হতে চাননি। তবে একবার মনে হলো তারও সুযোগ আছে, সেও শিখতে পারে। বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে গেছেন আর সেটাই পর্দায় প্রতিফলিত হয়েছে। কঠোর পরিশ্রম করেছেন কিন্তু কখনোই মরিয়া ছিলেন না। তিনি জানতেন সাফল্য তার কাছে ধরা দিবেই। এমনকি, তার সঙ্গে কখনোই কাউকে আপত্তিকর ব্যবহারের সুযোগ দেননি বলেও জানান ৪৪ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন