শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ঈদ উৎসবকে ইচ্ছে করেই এড়িয়ে গেলেন মোদি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০২০, ১২:০৫ এএম

যে দেশে ১৭২ মিলিয়ন মুসলিম রয়েছে, সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে ঈদ উৎসবের উল্লেখ করলেন না। মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ওই ভাষণ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদি আসন্ন সবগুলো অনুষ্ঠান, যেমন গুরু প‚র্ণিমা, গণেশ চতুর্থী, দিওয়ালি, দ‚র্গা প‚জা, ছাট প‚জা, এবং কাতি বিহুর উল্লেখ করেছেন, কিন্তু আসছে আগস্টের ঈদের কথা মুখে আনেননি। তিনি এমনকি এই ঘোষণাও দিয়েছেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার নভেম্বর পর্যন্ত ফ্রি-রেশান স্কিম বর্ধিত করেছে, এবং এর অধীনে পরিবারগুলো কি পরিমাণ গম, চাল ও চনা পাবে, সেটাও উল্লেখ করেছেন। কিন্তু বক্তৃতার কোথায় ঈদের কথা বলেননি তিনি। ১৫ মিনিটের বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, “জুলাই মাস থেকে উৎসবের পরিবেশ তৈরি হতে থাকে। দেখুন, ৫ জুলাই রয়েছে আমাদের গুরু প‚র্ণিমা। এরপর শাওন শুরু হবে। এরপর আছে ১৫ আগস্ট, রক্ষা বন্ধন, কৃষ্ণ জন্মাষ্টমি, গণেশ চতুর্থী, ওনাম। আরও যদি সামনে যান, তাহলে আসবে বিহু, নবরাত্রি, দ‚র্গা প‚জা, দুসেহরা, দিওয়ালি, ছাট প‚জা”। এটা একটা নতুন ভারত যেখানে মুসলিম উৎসবগুলোকে অবজ্ঞা করা যায়। কিন্তু এখানে কি বাদ দেয়া হচ্ছে না কি ছাড় দেয়া হচ্ছে? এআইএমএম দলের প্রেসিডেন্ট আসাদুদ্দিন ওয়াইসি উল্লেখ করেছেন যে মোদি তার বক্তৃতায় চনার কথা পর্যন্ত উল্লেখ করেছেন, কিন্তু ঈদের উল্লেখ করতে পারেননি। এরপরও ওয়াইসি মোদিকে ঈদ মোবারক জানিয়েছেন। মোদি ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ বলে যে শ্লোগান দিয়ে থাকেন, সেই শ্লোগান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অধিকার কর্মী-স্কলার উমর খালিদ। এই ধরণের তথ্য ভুলে যাওয়ার মানুষ নন মোদি। তিনি প্রায়ই ভারতের গঠন নিয়ে কথা বলেন। তিনি ভালো করেই জানেন যে, তার শব্দ, তার বাদ দেয়া শব্দ নিয়েও মানুষ কথা বলবে ও বিশ্লেষণ করবে, এবং তিনিও চান সেটা করা হোক। এটা ইচ্ছা করে বাদ দেয়া ছাড়া অন্য কিছু নয়। মুসলিমদের আঘাত দেয়া এবং তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করার প্রচেষ্টা ছাড়া এটা আর কিছু নয়। দ্য প্রিন্ট, এসএএম।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন