বগুড়ায় সারিয়াকান্দি পয়েন্টে ১২ ঘন্টায় যমুনায় পানি ২ সেন্টিমিটার কমে বৃহস্পতিবার বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে । জেলার তিনটি উপজেলা সোনাতলা ,সারিয়াকান্দি ও ধুনটের চরাঞ্চলের ৮০ হাজা মানুষ পানিবন্দী হয়ে বিপাকে পড়েছে । এদিকে যমুনার পানি ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের কাছে এসে পড়েছে। বাঁধে বসবাসকারি লোকজনের পাশাপাশি বাঁধের পশ্চিমপাড়ের লোকজন আতংকবোধ করছে ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্র জানায় বুধবার বিকাল ৬ টা থেকে বুধবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত ১২ ঘন্টায় যমুনার পানি ২ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বুধবার সন্ধ্যা ৬ টায় সারিয়াকান্দি পয়েন্টে বন্যার পানি বিপদমীমার ৬৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। বৃহষ্পতিবার ২ সেন্টিমিটার কমে ৬৪ সেন্টিমিটারে নেমে আসে ।
বন্যা কবলিত ৩ উপজেলা সারিয়াকান্দি , সোনাতলা ও ধুনটের চরাঞ্চলের বাড়ি ঘর,ফসল এখন পানির নিচে । ৩ উপজেলার বন্যাকবলিত এলাকার পানিবন্দী প্রায় ৮০ হাজার মানুষের অনেকেই বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে আশ্রয় নিয়ে মানবেতরভাবে দিন কাটাচ্ছে। এসমস্ত মানুষের মাঝে ইতোমধ্যেই পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সহ বিভিন্ন ওসুধ পত্র বিতরণ করেছে উপজেলা প্রশাসন ।
জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজাহার আলী মন্ডল জানান, সারিয়াকান্দি ,সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার যমুনা তীরবর্তী চরাঞ্চলের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে। তিনটি উপজেলার ৮৮ টি গ্রাম এখনও পানির নিচে ডুবে আছে। যমুনা সংলগ্ন তিন উপজেলায় আউস ধান, পাট, আখসহ বিভিন্ন ফসলে ক্ষতি হয়েছে বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কাসেম আজাদ। ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নে ১২ টি গ্রামে যমুনার বন্যার পানিতে ডুবে গেছে।
মহসিন রাজু ,বগুড়া ব্যুরো ,০২-০৭-২০
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন