তৃতীয় দিনের মতো গতকালও বেনাপোল বন্দর দিয়ে বন্ধ রয়েছে আমদানি রফতানি বাণিজ্য। ফলে আটকা পড়েছে কয়েক হাজার পণ্য বোঝাই ট্রাক। করোনাভাইরাসের অজুহাত দেখিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার বাংলাদেশ থেকে রফতানি পণ্য গ্রহন না করার প্রতিবাদে গত বুধবার থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দু দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে বন্দর ব্যবহারকারী ৫টি সংগঠন। তবে বন্দরে মালামাল লোড আনলোডসহ পণ্য সরবারহ প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের জন্য বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে প্রায় তিন মাস আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকার পর গত ৭ জুন এ পথে ভারতীয় পণ্যের আমদানি বাণিজ্য শুরু হয়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার করোনাভাইরাসের নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে তিন মাস বাংলাদেশের সঙ্গে রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রেখেছে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় বড় ধরনের বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দেয়ার আশঙ্কা করছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ থেকে রফতানি বাণিজ্য চালু করার জন্য কাস্টমস, বন্দর, সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশন, সিএন্ডএফ এজেন্টস স্টাফ এসোসিয়েশন, আমদানি রফতানিকারক সমিতি, বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন, ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতি নো ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সাথে কয়েক দফায় বৈঠক করেও চালু করতে পারেনি। বাংলাদেশ থেকে রফতানি পণ্য ভারত না নেয়ায় তৃতীয় দিনের মতো গতকাল বেনাপোল পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি বন্ধ রয়েছে। আমদানি রফতানি বন্ধ থাকায় দু বন্দর এলাকায় আটকা পড়েছে কয়েক হাজার পণ্য বোঝায় ট্রাক। যার অধিকাংশই রয়েছে বাংলাদেশের শতভাগ রফতানিমুখী গার্মেন্টস শিল্পের কাচামাল ও নিত্য প্রয়োজনীয় পচনশীল পণ্য রয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমসের কার্গো অফিসার নাসিদুল হক জানান, বাংলাদেশি রফতানি পণ্যের বড় বাজার প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম ভারত। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ ট্রাক পণ্য রফতানি হয়ে থাকে। দেশে স্থলপথে যে রফতানি বাণিজ্য হয় যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় তার ৮০ শতাংশ হয়ে থাকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রতিবছর এ বন্দর দিয়ে প্রায় আট হাজার কোটি টাকা মূল্যের ৯ হাজার মেট্রিক টন পণ্য ভারতে রফতানি হয়। আর ভারত থেকে প্রতিদিন ৪ শ’ থেকে ৫শ’ পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন