মার্চ মাস থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ। সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে সামাজিক চিত্রও। করোনার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষ স্বাভাবিক জীবন-যাপনের চেষ্টা করছেন প্রতিনিয়ত। ইদানিং বিয়েও হচ্ছে। দু’দিন আগেই ঘরোয়া পরিসরে জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় আবু জায়েদ রাহি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার সাক্ষী ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
রাহীর বড় ভাই আবু খালেদ চৌধুরী সাদি জানান, রায়নগর দর্জিপাড়া এলাকার বাসিন্দা কনে ডা: তৌহিদা আক্তার জুহার সাথে এক বছর আগেই সিলেটের তরুন পেসার রাহীর আকদ সম্পন্ন হয়। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সবাইকে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বরণ করা হবে বলেও জানান তিনি। নতুন জীবন শুরুর প্রাক্কালে সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন ক্রিকেটার রাহি।
এবার ফের নতুন করে জীবন শুরু করলেন মোসাদ্দেক হোসেন। দ্বিতীয়বার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার। ময়মনসিংহে গতপরশু পারিবারিকভাবে ঘরোয়া পরিবেশে সম্পন্ন হয় বিয়ের অনুষ্ঠানিকতা। তার স্ত্রীর নাম উম্মে তামান্না, বাড়ি ময়মনসিংহ শহরের তালতলা এলাকায়। বিয়ের খবর নিশ্চিত করে মোসাদ্দেক জানান, করোনাভাইরাসের কারণে সীমিত আকারে বিয়ের অনুষ্ঠান করা হয়েছে। সবকিছু ঠিক হলে পরবর্তীতে সবাইকে নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। পরদিন রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ত্রীর সঙ্গে ছবি দিয়ে ২৪ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার লিখেছেন, ‘জীবনের নতুন যাত্রা শুরু করছি। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
২০১২ সালে খালাতো বোন সামিরা শারমিনকে বিয়ে করেছিলেন মোসাদ্দেক। পরে তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। ২০১৮ সালে মোসাদ্দেক ও তার মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন সামিরা। তার অভিযোগ ছিল, ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে তাকে তাড়িয়ে দিয়েছেন মোসাদ্দেক। তবে মোসাদ্দেক তখন বলেছিলেন, বিয়ের পর থেকেই তাকে পরিবার ছেড়ে আলাদা সংসার করতে চাপ দিচ্ছিলেন সামিরা। এই নিয়ে তার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করায় ও গায়ে হাত তোলায় স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন