টেকনাফে মাদকের চালান নিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে বিজিবির সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক যুবক নিহত হয়েছে। নিহত যুবক হলেন, টেকনাফ পৌরসভার মো. সৈয়দ আহমদের ছেলে মো. ছৈয়দ আলম (৩৫)। এ সময় বিজিবির ২ সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৪০ হাজার ইয়াবা, ১টি এলজি ও এক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
গতকাল রোববার রাতের প্রথম প্রহরে টেকনাফ স্থলবন্দর ১৪ নম্বর ব্রিজের নিকটবর্তী কেয়ারী খাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিজিবির দাবি, মো. ছৈয়দ আলম চিহ্নিত মাদক কারবারি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছৈয়দ আলম মিয়ানমার মংডু থানার বালুখালির গ্রামের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, রোববার রাতের প্রথম প্রহরের দিকে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বিশেষ একটি টহলদল মাদকের চালান অনুপ্রবশের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টহলে যায়। এ সময় এক ব্যক্তি নাফনদী সাঁতার কেটে কিনারায় এলে সন্দেহভাজন ঘোরাফেরা করা ব্যক্তিদ্বয় তাদের নিকট গেলে বিজিবিরা তাদের চ্যালেঞ্জ করামাত্র পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন বিজিবি সদস্যরা তাদের ধাওয়া করলে তারা তাদের গুলি করলে বিজিবির ২ সদস্য আহত হয়।
বিজিবি সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করলে হামলাকারীরা পাহাড়ের ভেতরে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ৪০ হাজার ইয়াবা, ১টি দেশীয় তৈরি এলজি ও ১ রাউন্ড তাঁজা কার্তুজসহ নাইট্যংপাড়ার বার্মাইয়া ছৈয়দ আহমদের পুত্র ছৈয়দ আলম (৩৫) কে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে।
এরপর আহত বিজিবি এবং গুলিবিদ্ধ মাদক কারবারিকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে বিজিবি সদস্যদের চিকিৎসা দেয়ার পর গুলিবিদ্ধ মাদক কারবারি গ্রুপের সদস্যকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার রেফার করলে সে মারা যায়। তার লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানান, এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তদন্ত স্বাপেক্ষে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন