ভারত বিভাগের পর হাজার হাজার তামিল ভাগ্যান্বেষণে মালয়েশিয়াতে পাড়ে জমায়। সেখানে স্থানীয়দের সঙ্গে প্রথম থেকেই তাদের দ্ব›দ্ব সৃষ্টি হয়। তারও অনেক পর তাদের সহায় হয়ে দাঁড়ায় কাবালিশ্বরন ওরফে কাবালি (রজনীকান্ত) কারও কাছে সে ত্রাতা আবার কারও কাছে মাফিয়া সর্দার। তার যেমন অসংখ্য বন্ধু আর ভক্ত তেমনি শত্রæরও অভাব নেই। এমনই একদল শত্রæর ষড়যন্ত্রে এক মিথ্যা মামলায় তা ২৬ বছরের কারাদÐ হয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সে এক হিন্দু মন্দিরে অগ্নিসংযোগ করেছে যাতে বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষের মৃত্যু হয়। কাবালি জানতে পারে সেই সময় তার স্ত্রী কুমুদাও সেই মন্দিরে ছিল। সে জানে তার স্ত্রীও সেখানে নিহত হয়েছে। ২৬ বছর পর মুক্তি পেয়ে সে তার কুয়ালালামপুর-ভিত্তির দলের নেতৃত্ব গ্রহণ করে এবং সেই অগ্নিসংযোগের জন্য যে বা যারা দায়ী ছিল তাদের খোঁজ শুরু করে। প্রথমের তার লক্ষ্যে পরিণত হয় লোগা (মিমে গোপি) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী যে তার স্ত্রী সম্পর্কে অশালীন ইঙ্গিত করেছিল। তার কাছ থেকে সে ধারণা পায় যে তার স্ত্রী এখনও জীবিত আছে। এদিকে কুমারন (কৈলাসরন) নামে এক তরুণ তার বাবা তামিলমারান (চার্লস বিনোথন) হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য কাবালিকে হত্যা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। তামিলমারান একসময় কাবালির দলের সদস্য ছিল। তার বিশ্বাসঘাতকতার কারণেই কাবালিকে জেল খাটতে হয়েছে এবং কুমুদা গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। কাবালি নতুন করে অপরাধ জগতে আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করলে অন্যরাও ঈর্ষান্বিত হয়ে ওঠে এবং তাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে। দলের ভেতরেও রয়েছে বিশ্বাস ঘাতক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন