শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নওগাঁয় ছোট যমুনা ও আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বেড়িবাঁধ ভেঙে বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ জুলাই, ২০২০, ৬:৫০ পিএম

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং গত কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিতে নওগাঁর ছোট যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বুধবার সকালে নান্দাইবাড়ি-কৃষ্ণপুর-মালঞ্চি বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলার কয়েকটি গ্রাম। তবে নদীর পানি আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়াই আরো গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। ইতিমধ্যেই রাণীনগর উপজেলার নান্দাইবাড়ি, কৃষ্ণপুর, মালঞ্চি, দুর্গাপুরসহ কয়েকটি গ্রাম ও নদীর তীরবর্তি গ্রামগুলো বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। পানিতে ভেসে গেছে শতাধিক পুকুরের মাছ ও তলিয়ে গেছে ধানের বীজতলাসহ সবজির ক্ষেত। ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে নওগাঁ-রাণীনগর-আত্রাই আঞ্চলিক সড়কটি। অতন্ত ১০টি জায়গায় সড়ক উপচে পানি পাড় হচ্ছে। ফলে নওগাঁর শহরের সাথে আত্রাই উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সড়কটি ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বালি ভর্তি বস্তা দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা করছে স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয়রা।

অপরদিকে আত্রাই নদী পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় বুধবার সকালে মান্দা উপজেলার আত্রাই নদীর নুরুল্লাবাদ নামক স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে ওই এলাকার ৪ শতাধিক পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছেন। ডুবে গেছে শত শত হেক্টর জমির ধান, পাটসহ সবজির মাঠ। নিরুপায় হয়ে গরু-ছাগল নিয়ে সড়ক ও বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছেন পানিবন্দী মানুষরা।

এদিকে নওগাঁ-আত্রাই আঞ্চলিক মহাসড়ক ও বেড়িবাঁধ ভাঙনের স্থান পরিদর্শন করেছেন নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোঃ হারুন অর রশিদ।
এসময় তিনি বলেন, বন্যা দুর্গত এলাকার জন্য ইতিমধ্যে ত্রাণ বরাদ্দা দেওয়া হয়েছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে বালু ভর্তি বস্তা ফেলানো হচ্ছে। এছাড়াও বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের আশ্রয়ের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তারা চাইলে সেখানে এসে আশ্রয় নিতে পারে। তবে এখনও ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের পর পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসময় পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন, সড়ক ও জনপদের বিভাগের নির্বাগী প্রকৌশলী হামিদুল হক, রানীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হেলাল, নির্বাহী অফিসার আল মামুনসহ অন্যান্যে কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার ১২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং ছোট যমুনার পানি বিপদ সীমার ৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন