পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার নদমূলা ইউনিয়নের চিংগুরিয়া নিবাসী মোঃ সুলতান হাওলাদারের একমাত্র ছেলে সাদ্দাম (২০) গত ১৭ জুলাই রাত ১১ টা পর থেকে ফজরের আজানের আগ পর্যন্ত যে কোন সময়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করছে বলে জানান তার পিতা মোঃসুলতান হাওলাদার ।
তার পরিবারে সদস্যদের কাছ থেকে জানা যায় গত রাত ১০টার সময় বাড়িতে এসে খাবার খেয়ে সামনের বারান্দায় তার বিছানায় ঘুমাতে যায়।ঘরের অন্যান্য সদস্যরা লাইট বন্ধ করে নিজ নিজ বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন। ফজরের আজানের সময় নামাজের জন্য পাশের ঘরের নুরু মিয়া বাহিরে বের হলে ঘরে সামনের বারান্দায় সাদ্দামকে নিজ ঘরের চৌকাঠের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার করে সবাইকে ডেকে তুলেন। পরিবারের সদস্যদের সহয়তায় সাদ্দামের নিথর দেহ নীচে নামিয়ে আনেন।
সকলের ধারনা অনেক পূর্বেই তার মৃত্যু হয়েছে। এলাকাবাসীর আরো জানান এর আগে একাধিক বার আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়ে ব্যার্থ হয়েছে ৷ সাদ্দাম নেশাগ্রস্ত ও মানুষিক ভারসাম্যহীন ছিল বলে যানা যায় ।দীর্ঘদিন তার পিতামাতা এমনকি একমাত্র ছোটবোনকে ও নেশার টাকার জন্য মারধর করতো এবং পরিবারের মোবাইল এবং দামী বিক্রয়যোগ্য জিনিসপত্র হাতিয়ে নিতো ।
আত্মহত্যার বিষয়টি থানায় অবহিত করলে এস আই মোঃ মিজানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল উপস্থিত হয়ে লাশ থানায় নিয়ে আসে। এবং সুরতহাল রিপোর্ট এর জন্য পিরোজপুর মর্গে পাঠানো নিয়ে যায় ।
মোঃমাকসুদুর রহমান অফিসার ইনচার্জ ভান্ডারিয়া থানা জানান এখনো পরিবার থেকে কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে ময়না তদন্ততের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে। অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন