নদীমাতৃক জেলা ভোলা। ভোলার চার দিকে নদী হওয়ায় এ জেলার মানুষের আতঙ্কের মধ্যেই দিন কাটে। সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া কম হয়নি এ জেলায়। নদী বেষ্টিত এ জেলায় নদীনালা ভাঙ্গনের কারণে উন্নয়নের সুফলগুলো বেশিরভাগই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এমনটাই দেখা যায় ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে পাশ দিয়েই বহমান তেতুলিয়া নদীর ভাঙ্গনের কারনে। এই তেতুলিয়া নদীর তীরবর্তী ভেদুরিয়া লঞ্চঘাট হইতে চর চটকিমারা খেয়ার ঘাট পর্যন্ত প্রায় কয়েক কিলোমিটার এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ নদী ভাঙনের তান্ডব চলতে থাকে। দীর্ঘ ১৫ বছরের ও বেশি সময় ধরে তেতুলিয়ার ভাঙ্গন তান্ডব অব্যাহত রয়েছে। সংস্কার না হওয়ায়, বড় হচ্ছে তেতুলিয়া নদী। দিন দিন ছোট হয়ে আসছে ভেদুরিয়া এলাকা।ইতিমধ্যে এখানকার অসহায় মানুষগুলো হারিয়েছে তাদের বসতভিটাসহ আবাদি জমি।বর্তমানে নদীর তীরবর্তী যে সব পরিবার বসবাস করছে তাদের দিন কাটাচ্ছে চরম আতংকের মধ্যে। তেতুলিয়া নদীর ভাঙ্গনের ফলে, নদী সংলগ্ন রাস্তা, মসজিদ, বসতবিটা ও ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন এর পথে। অনেক পরিবার নদীগর্ভে সহায় সম্পত্তি হারিয়ে অসহায়ত্বের জীবন যাপন করছে। কান্নাজড়িত কন্ঠে স্থানীয় এক মুরুব্বী বলেন নদীগর্ভে বিলিন হয়ে আমারা আজ পথের ভিখারী।
৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ তেঁতুলিয়ার ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে।স্থায়ীভাবে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করার ব্যবস্থা গ্রহণ না হওয়ায় বর্তমানে ভেদুরিয়া ইউনিয়ন হুমকির মুখে। তিনি বলেন আমাদের ভোলা জেলার অভিভাবক সাবেক বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপির মাধ্যমে এ জেলার উন্নয়ন হয়েছে এবং অব্যাহতও রয়েছে উন্নয়নের ধারা। উন্নয়নের সুফল থেকে বাদ পড়েনি ভেদুরিয়া ইউনিয়ন। নেতা আমাদের দিয়েছেন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, ব্যাংকের হাটে টেক্সটাইল কলেজ সহ রয়েছে একটি গ্যাস কূপ।,ইউনিয়নের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে রয়েছে সরকারের পাকা রাস্তা।প্রিয় নেতার ব্যাপক উন্নয়নের ছোঁয়া রয়েছে আমাদের এই ভেদুরিয়ায়। কিন্তু এ উন্নয়নের সুফল আস্তে আস্তে কেড়ে নিচ্ছে রাক্ষসী তেতুলিয়া নদী। এ এলাকার হাজারেরও বেশি মানুষ ফসলি জমিসহ বসতভিটা হারিয়েছে নদীগর্ভে। বর্তমানে তেঁতুলিয়ার ভাঙ্গন আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে অসহায় মানুষগুলো সহায় সম্পত্তি হারিয়ে অসহায়ত্বের জীবন যাপন করছে। এলাকাবাসীর জোড় দাবী তেতুলিয়া নদীর ভাঙ্গনকে স্থায়ীভাবে বাধেন মাধ্যমে বন্ধ করে ভেদুরিয়া বাসিকে রাক্ষসী তেতুলিয়ার হাত থেকে রক্ষা করার।এদিকে মনপুরারও বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।তাতে স্থানীয় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভোলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ ইনকিলাবকে বলেন,ভেদুরিয়ায় ব্যাপারে নতুন বরাদ্ব প্রস্তাবনায় দেয়া হয়েছে এবং মনপুরার জন্য একটি প্রক্ল্পের পাঠানো হয়েছে অনুমোদন পেলে শীগ্রই কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন