শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ইমরান-হাসিনার আলোচনা, উদ্বেগে ভারত!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০২০, ১:৫৩ পিএম

কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা ইমরান-হাসিনার, উদ্বেগে ভারত! এবিষয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় উদ্বেগের শেষ নেই। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর টেলিফোন কথোপকথনে দেশটির মিডিয়াগুলো বলতে চাচ্ছে নয়াদিল্লি বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগে পড়েছে।

ইমরান ও হাসিনার এই ফোনালাপের পরে ইসলামাবাদ ও ঢাকার পক্ষ থেকে যে বিবৃতি জারি করা হয়েছে তার মধ্যে তফাত রয়েছে। ইসলামাবাদের তরফে জারি আট পাতার বিবৃতিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে নিজের চিন্তা হাসিনাকে বলেছেন ইমরান। উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী চিন্তিত। তিনি চান শান্তিপূর্ণ ভাবে এই সমস্যার সমাধান হোক। অন্যদিকে ঢাকার তরফে জারি করা দু’পাতার বিবৃতিতে বলা হয়েছে দু’দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস ও বাংলাদেশের বন্যা নিয়ে দু’জনের কথা হয়েছে। সেখানে কাশ্মীরের কোনও প্রসঙ্গ নেই।

নিউজ পোর্টাল ‘দি ওয়াল’এর এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে সম্প্রতি ফোনে কথা হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সেই আলোচনায় নাকি উঠে এসেছে কাশ্মীর প্রসঙ্গ। জম্মু-কাশ্মীরের বর্তমান অবস্থা নিয়ে হাসিনার কাছে নিজের চিন্তার কথা নাকি জানিয়েছেন ইমরান। এই খবরে উদ্বেগ বেড়েছে নয়াদিল্লির। চীনের সঙ্গে সংঘাতের মধ্যে ভারতের পড়শি রাষ্ট্রগুলোর অবস্থান নিয়ে ধন্ধে ভারত।
গত মাস থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে নেপাল। তার মধ্যে যদি ইমরানের সঙ্গে আলোচনার পরে ঢাকাও ভারতের বিরোধিতা শুরু করে সেক্ষেত্রে কূটনৈতিক ক্ষেত্রে চাপে পড়তে পারে নয়াদিল্লি। তাতে অনেকটাই সুবিধা হবে চীনের। কারণ ইতিমধ্যেই চীন অনেকভাবে বাংলাদেশের উপর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে, যাতে বাংলাদেশও ভারত বিরোধিতা শুরু করে। এই প্রভাব খাটিয়েই নেপালকে নিজেদের দলে টেনেছে চীন। ইমরানের এই ফোন করার পিছনেও চীনের প্রভাব থাকতে পারে বলে নয়াদিল্লির ধারণা। এই ঘটনার পরে অবশ্য বিদেশমন্ত্রকের (ভারতের) তরফে বলা হয়েছে, চিন্তার কোনও কারণ নেই। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। জম্মু-কাশ্মীর ও তার উন্নতি নিয়ে ঢাকার মনোভাব নয়াদিল্লি জানে। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তারা সবসময় বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থান নিয়েছে।

তবে কূটনৈতিক মহল পুরোপুরি এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয়। কুটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ভারতের চিন্তা করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ভারত ও চিনের মধ্যে এই সমস্যার সময়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে এই সম্পর্কের হঠাৎ পরিবর্তন নয়াদিল্লির পক্ষে উদ্বেগ বাড়াতেই পারে। অনেক ক্ষেত্রেই শেখ হাসিনা নিজের গণ্ডি পেরিয়েছেন। ইতিহাসে তার অনেক প্রমাণ রয়েছে বলেই তাঁদের মত। প্রাক্তন বিদেশ সচিব কৃষ্ণণ শ্রীনিবাসন অবশ্য এই ব্যাপারে ভয় না পাওয়ার কথাই বলেছেন। তাঁর বক্তব্য, দুই প্রধানমন্ত্রী তঁদের মধ্যে আলোচনায় যে কোনও বিষয় তুলতেই পারেন। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ দুটিই মুসলিম অধ্যুষিত দেশ। তাই তাঁদের প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে আলোচনায় কাশ্মীর প্রসঙ্গ আসতেই পারে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। জম্মু-কাশ্মীরের উপর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার সময় পাকিস্তান এর বিরোধিতা করলেও বাংলাদেশ একে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেছিল। কিন্তু নাগরিকত্ব আইন পাশ করার পরে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী আব্দুল মুমিন জানিয়েছিলেন, এই আইন পাশ করে ভারত ধর্মনিরেপক্ষ রাষ্ট্র বলার অধিকার হারাল। যদিও ঢাকার তরফে সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। এখন দেখার ইমরান ও হাসিনার এই ফোনালাপের পরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে কোনও বদল আসে কিনা।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
saif ২৭ জুলাই, ২০২০, ২:০৯ পিএম says : 0
আসুন সবাই দোয়া করি আল্লাহ্‌ আমাদের দেশের সকল কর্তাব্যক্তিকে হিদায়েত প্রধান করুণ। আমরা সবাই গুনাগার কারো কম কারো বেশি কিন্তু আল্লাহ্‌ ও রাসুল (সাঃ) সকলকে সকলের জন্যে করা দোয়া এবং ব্যক্তি কে উধিক পচন্দ করেন বলে মনে করি। আর তাছাড়া বিপথ গ্রস্থ মুসলমান ভাইয়ের জন্যে দোয়া করাতো একান্ত দায়িত্ব ও ঈমানি কর্তব্য।
Total Reply(0)
ম নাছিরউদ্দীন শাহ ২৭ জুলাই, ২০২০, ৩:৩১ পিএম says : 0
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী বিশ্বের বিচক্ষন দুর্দান্ত জ্ঞানী দক্ষিণ এশিয়ার প্রভাবশালী নেতাদের একজন। পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রীর ফোন ভারত পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের সংঘাতময় পরিবেশ দক্ষিণ এশিয়ার সবার জানা আছে। চীনের সাথে ভারতের সংঘাতময় পরিস্থিতি বাংলাদেশের কি করার আছে। দুই পরমানু শক্তিশালী রাষ্ট্রের জানা থাকার কথা ইতিমধ্যে ভারতের বিরুদ্ধে নেপালের আক্রমণগুলো দেশ হিসাবে ভারতের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তির সংকটে আছে। আমাদের পরারাষ্ট্রনীতি অত্যন্ত পরিস্কার সকলের বন্ধুত্বের চীন ভারতের খেলা। পাকিস্তান ভারতের দীর্ঘদিনের শক্রতা অব‍্যাহত আছে। কাশ্মীর নিয়ে। নানা সমাস‍্যা। এখানে বাংলাদেশের অবস্থা পরিস্কার চীন পাকিস্তানের কৌশল যুদ্ধের ময়দানে অর্থনৈতিক শক্তিশালী চীনের কৌশলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ভারতের হবে। স্বাভাবিক। আর পাকিস্তানের কৌশলের প্রতিক্রিয়াই ইতিমধ্যে বিভিন্ন ভাবে আলোচনা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব‍্যাক্তিরা রাষ্ট্রের নীতি নিদ্ধারক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দেরা অত্যন্ত সাবধানতা বিচক্ষণতার বিকল্প নেই। আন্চলিক অশান্তি মাঝেই নিজের রাষ্ট্রের বাংলাদেশের শক্তিশালী অবস্থান নিয়ে বিচক্ষন দক্ষ কুটনৈতিক প্রজ্ঞানিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার শান্তির পক্ষে যুক্তি সংগত কথা বলা প্রয়োজন আশাবাদী বাংলাদেশ তাহার অভিষ্ট লক্ষ অর্জনে সাফল্য পাবেন। ইনশাআল্লাহ। আন্তর্জাতিক উদ্যোগ আন্চলিক উদ্যোগ আন্তর্জাতিক লিখালেখী মাঝেও আমাদের শান্তির পক্ষেই কাজ করার বাংলাদেশের শক্তিশালী অবস্থার জানান দিতে হবে। বাংলাদেশ শান্তির পক্ষে।
Total Reply(0)
মোঃ আইয়ুবআলীসিকদার ২৭ জুলাই, ২০২০, ৮:৪১ পিএম says : 0
ভারতের মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ যদি তাদের বিপক্ষে যায় তবে ভারতের ভিতর অশান্তি বহু গুণ বৃদ্ধি পাবে এবং তাদের শান্তির নিঃশ্বাস নেওয়ার মতো দক্ষিন এশিয়ায় তাদের জন্য কোনো বন্ধু আর অবশিষ্ট থাকবে না এবং ভারতের কুচক্রী কুফলের আলোকে বাংলাদেশের অনেক নিরপরাধ নাগরিক মৃত্যুর শিকার হচ্ছে বর্তমানে ভারত এতোটাই বাংলাদেশী নাগরিকদের অপমান করছে ভালো মানুষকে গরু চোর বানিয়ে বি সি এফ বাহিনী স্থানীয় মানুষদের কমিটি গঠন করে বাংলাদেশী নাগরিকদের সিমান্ত লাগোয়া এলাকা থেকে অপহরণ করে নিয়ে তাদের নিষ্ঠুরতম ভাবে পিটিয়ে হত্যা করে বাংলাদেশী নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা ভারতের একান্তই উচিৎ তাহলেই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ভারতের বন্ধুরাষ্ট্র হিসাবে বিবেচিত হবে কিন্তু পাখির মতো গুলি করে মেরে এবং চোর সাজিয়ে হত্যা করে আবার জঙ্গি সাজিয়ে বাংলাদেশের সম্মান ডংস করে বন্ধু হওয়া যায় না
Total Reply(0)
Saeed ২৭ জুলাই, ২০২০, ১০:৫৬ পিএম says : 0
India now a Hindu Reactionist country .We Bangladishi are nation. We the biggest part of Muslim Umma. As our Prophets said . Muslim in any part of this planet are Brother each other. No meter ago. Colouror ethnic identification. All same . This is our Emani duty to support Kasmiri or author Muslim in China.We for the sake of our future must be on he side of Mozlum Muslim.
Total Reply(0)
Saeed ২৭ জুলাই, ২০২০, ১০:৫৭ পিএম says : 0
India now a Hindu Reactionist country .We Bangladishi are Muslim nation. We the biggest part of Muslim Umma. As our Prophets said . Muslim in any part of this planet are Brother each other. No meter geo.location. Colouror ethnic identification. All same . This is our Emani duty to support Kasmiri or author Muslim in China.We for the sake of our future must be on he side of Mozlum Muslim.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন