শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

কক্সবাজার সাগর উপকূলে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালী ইলিশ

কক্সবাজার থেকে বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০২০, ১১:৫৮ এএম

কক্সবাজার সাগর উপকূলে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালী ইলিশ। এতে কক্সবাজারের মৎস্যঘাট গুলোতে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে এখন।

৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে মৎস্য শিকারে যাওয়া শত শত ফিশিং ট্রলার ইলিশ বোঝাই করে কূলে ফিরতে শুরু করেছে। শুধু মাত্র কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়াস্থ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রেই (ফিশারীঘাট) গত ৩ দিনে প্রায় ২০ মেট্রিক টন মাছ অবতরণ হয়েছে। এর মধ্যে ইলিশের পরিমান প্রায় ১০ মেট্রিক টনের মতো।

বুধবার সকালে সরেজমিনে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে গিয়ে এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। কয়েকদিনের মধ্যে সাগরে যাওয়া অন্য ট্রলারগুলো ফিরতে শুরু করবে। তখন আরো বেশী ইলিশ নিয়ে ট্রলার গুলো ফিরে আসবে এমনিই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কক্সবাজারের নুনিয়াছড়া মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটিতে ৬৫দিন পর্যন্ত ছিলনা কোন কোলাহল। তবে এখন মাছ নিয়ে ফিরে আসা ট্রলার গুলোর হাক ডাক ও বেচাবিক্রিতে সকাল থেকে সরগরম হয়ে উঠে ফিশারি ঘাট নামে পরিচিত এই অবতরন কেন্দ্রটি। ফিরে আসা ট্রলার গুলো নিয়ে আসছে মন মন ইলিশ। ফিরে আসা জেলেরা জানান, সাগরে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। আর এই ইলিশ গুলো আকারও বড়।

শুধু ইলিশই নয় এর সাথে ধরা পড়ছে রূপচাঁদা, লইট্যাসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ। সাগরে প্রচুর পরিমান ইলিশ ধরা পড়ায় মৎস্যজীবিদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। আড়ত গুলোতে ফিরে এসেছে কর্মচাঞ্চল্যতা। এসব মাছ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করতে ব্যস্ত সময় পার করছে মৎস্য ব্যবসায়ীরা।

ফিশারি ঘাটে কথা হয় ফিশিং ট্রলারের জেলে আবুল কাশেমসহ কয়েকজনের সাথে। তারা বলেন, টানা অনেক দিন মৎস্য শিকার বন্ধ থাকায় অনেক কষ্টে দিন গেছে। তার উপর করোনার দুর্যোগও ছিল। সবমিলিয়ে অনেক দুঃখ-কষ্টে পরিবার পরিজন নিয়ে দিন কাটাতে হয়েছে তাদের। এবার সাগরে প্রচুর পরিমাণ মাছ ধরা পড়ায় হয়তো সেই দুঃখ-কষ্ট ঘুছবে। সামনে ঈদে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খুশিতে কাটাতে পারবো।

কক্সবাজার ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ বলেন, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিশিং ট্রলারগুলো গত কয়েকদিন ধরে সাগরে মৎস্য শিকারে গেছে। কিছু কিছু ট্রলার ফিরেও এসেছে। সব ট্রলারেই ছিল মাছ ভর্তি। বিশেষ করে ইলিশ মাছ। নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে যে ক্ষতি হয়েছে আশা করি তা পুষিয়ে নিয়ে লাভের মুখ দেখবে ফিশিং ট্রলার মালিকেরা।

কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ৩শতাধিক ট্রলার ফিরেছে এতে সোয়া ১লাখ টাকার মতো রাজস্ব আয় হয়েছে। ট্রলারগুলো ফিরতে শুরু করায় মাছের পরিমান ও রাজস্ব উভয়ই বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য-মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে গত ২০ মে থেকে ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা ছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা শেষ করে গত ২৩ জুলাই থেকে ফের মৎস্য শিকারে যান মাঝি-মাল্লারা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
Mohammed siddique ৩১ জুলাই, ২০২০, ২:৫৮ এএম says : 0
Is everything is very nice but price is not down price is too much high somebody say 20000 but really is not done so is price is coming down dollar me happy also will do the government some support the public zone thank you thank you very much God bless you
Total Reply(1)
Mozharul Kamal ৪ আগস্ট, ২০২০, ১০:৫২ এএম says : 0
এইটা কি ইংরেজী না অ্ন্য কোন ভাষা ।
KAZI M HOSSAIN ৩ আগস্ট, ২০২০, ৯:২৫ এএম says : 0
My Golden country has lot of golden Fish, Blessing of Allah, Joy Bangla
Total Reply(0)
Mozharul Kamal ৪ আগস্ট, ২০২০, ১০:৪৮ এএম says : 0
দাম তো তেমন কমছেনা।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন