গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্রের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে ও ঘাঘট নদীর পানি শহরের ব্রিজ রোডে বিপদসীমার ২৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে গাইবান্ধার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অপরিবর্তিত রয়েছে। বন্যার পানি কমলেও চাঞ্চল্যের ২শ ৫০টি চরে ৫০ হাজার মানুষ এখনো পানি বন্দী রয়েছে। বাঁধের তীরবর্তী এলাকার ঘরবাড়ি থেকে পানি নামেনি জনদূর্ভোগ রয়েছে।।
তৃতীয় দফা বন্যায় গাইবান্ধার ১টি পৌরসভা সহ সুন্দরগঞ্জ, সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা ৪৪ টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। বন্যায় বিভিন্ন ঘড়ে ঘড়ে পানি রয়েছে। এসব ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে উচু বাধঁ ও আশ্রয় কেন্দ্রে বসবাস করছে। ২শ ৫৫টি চরে ৫০ হাজার পরিবার এখনও পানি বন্দী অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে জেলা ত্রান কর্মকর্তা জানান, গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার বন্যার্ত জন্য ক্ষয়রাতি সাহায্য হিসেবে ২৫ লাখ টাকা, জি আর ৫শ ৫০ মে: টন মেট্রিক টন চাল, শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য ৪ লাখ টাকা, গো খাদ্য ক্রয়ের জন্য ৯ লাখ টাকা, পানি বন্দী চরাঞ্চলের বন্যার্তদের জন্য ৫ হাজার ৬শ ৮০ প্যাকেট শুকনা খাবার ও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্য্যায় থেকে এান বিতরন অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন