এই পৃথিবীতে এক ব্যক্তি পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাঙ্গন থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রী অর্জন করলো, পৃথিবীর সকল রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে সবথেকে শক্তিশালী রাষ্ট্রের মূল কর্ণধারের পদটি তাকে দেওয়া হলো এবং অন্যান্য সমস্ত রাষ্ট্রের রাষ্ট্র প্রধানগণ তাকে নেতা হিসেবে অনুসরণ করলো, ভোগ-বিলাসের যাবতীয় উপায়-উপকরণ তার পদানত হলো, কোন কিছুর অভাব এবং দৈন্যতার সাথে তার কখনো পরিচয় ঘটলো না, গোটা বিশ্বের ওপরে তার একচ্ছত্র ক্ষমতা পাকাপোক্ত হলো, মানুষের দৃষ্টিতে এই লোকটিই হলো পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে সফলতার অধিকারী। আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন এই ভুল ধারণা অপনোদনের জন্য অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন যে, সফলতার প্রাথমিক পুঁজি হচ্ছে ঈমান। যেইসব ব্যক্তি আল্লাহ, তাঁর রাসূল, তাঁর ফেরেশতাকুল, তাঁর নাযিলকৃত কিতাব এবং আখিরাতের প্রতি ঈমান পোষণ করেন, সেইসব ব্যক্তি সফলতার সিঁড়ির প্রথম ধাপ অতিক্রম করতে সক্ষম হন। সূরা আসরে আল্লাহ তা‘আলা সফল ব্যক্তিদের চারটি গুণের কথা উল্লেখ করেছেন। সে চারটি গুণ হলো- ঈমান, আমলে সালেহ তথা সৎকাজ, মহাসত্যের দিকে মানুষকে আহবান তথা হকের দাওয়াত এবং এ কাজ করতে গিয়ে যে ধৈর্যের প্রয়োজন, সেই ধৈর্য নামক মহান দুর্লভ গুণ। “সময়ের কসম, নিশ্চয় আজ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ততায় নিপতিত। তবে তারা ছাড়া যারা ঈমান এনেছে, সৎকাজ করেছে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।” [সূরা আসর : ১-৩]
প্রথমেই বলা হয়েছে, মানুষকে ঈমান আনতে হবে। তাওহীদ, রিসালাত ও আখিরাতের প্রতি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যেভাবে ঈমান আনতে বলেছেন, তেমনভাবে ঈমান আনতে হবে। দ্বিতীয়ত বলা হয়েছে, শুধু ঈমান আনলেই মহাক্ষতি থেকে মুক্ত থাকা যাবে না। সেই সাথে ঈমানের দাবি অনুসারে আমলে সালেহ্ করতে হবে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ও তাঁর রাসূল পৃথিবীতে জীবন-যাপনের লক্ষ্যে যে বিধান পেশ করেছেন, সেই বিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। তৃতীয়ত ঈমান এনে ও আমলে সালেহ্ করে যে ব্যক্তি মহাক্ষতি থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে সফলতা ও কল্যাণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, সে ব্যক্তি শুধুমাত্র স্বার্থপরের মতো নিজেই মহাক্ষতি থেকে মুক্ত থাকবে না, অন্য মানুষকেও মহাক্ষতি থেকে বাঁচানোর লক্ষ্যে ‘হক’-এর দাওয়াত দেবে। অর্থাৎ যে জীবন ব্যবস্থা অনুসারে নিজের জীবন পরিচালিত করলে মহাক্ষতি থেকে বাঁচা যাবে এবং সফলতা অর্জিত হবে বলে সে বিশ্বাস করে তা নিষ্ঠার সাথে অনুসরণ করছে, সেই জীবনাদর্শ অনুসরণ করার জন্য অন্য মানুষকেও আহবান জানাবে। যার ভেতরে কল্যাণ নিহিত রয়েছে বলে সে বিশ্বাস করে অনুসরণ করছে, তা মানুষ সমাজে প্রচার-প্রসার ও প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল নির্দেশিত পথে সদা তৎপর থাকবে।
মহাক্ষতি থেকে মুক্ত থাকার ও সফলতা অর্জন করার চতুর্থ বিষয়টি হলো, ‘হক’ অনুসরণ করতে গিয়ে এবং ‘হক’-এর প্রচার-প্রসার ও তা প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে যে বিপদ-মুসিবত, ক্ষতি, দুঃখ-কষ্ট, বাধা-প্রতিবন্ধকতা সম্মুখে আসবে তার মোকাবেলায় ধৈর্য তথা ‘সবর’ অবলম্বন করতে হবে।
এই চারটি কাজ বিশ্বস্ততার সাথে আঞ্জাম দিতে পারলেই মহাক্ষতি থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে সফলতা অর্জন করা যাবে। আর এই চারটি কথাই আলোচ্য সূরা আসরে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেন। প্রত্যেক নবী-রাসূল এবং তাঁদের সাহাবায়ে কেরাম এই চারটি কাজ করেছেন। যুগে যুগে যাঁরা সফলতার পথ অবলম্বন করেছেন, তাঁরাও এই চারটি কাজকে জীবনের অন্য সকল কাজের ওপরে প্রাধান্য দিয়েছেন। এই চারটি কাজ যারা সফলভাবে করতে পেরেছেন, তাঁরাই মহান আল্লাহর রহমতের দৃষ্টির আওতায় এসেছেন এবং তাঁর অনুগ্রহ লাভে ধন্য হয়েছেন।
কুরআনুল কারীমে বলা হয়েছে মুমিনগণ সফল
১. নিশ্চয়ই সফলতা লাভ করেছে মুমিনগণ, ২.যারা তাদের সালাতে খুশু অবলম্বন করে, ৩.যারা বেহুদা কথা ও কাজ থেকে দূরে থাকে, ৪. যারা পরিশুদ্ধি সাধনের কাজে তৎপর থাকে, ৫. যারা তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযাত করে, ৬.নিজেদের স্ত্রী ও মালিকানাধীন মহিলাদের নিকটে ছাড়া, এদের কাছে গেলে তারা তিরস্কৃত হবেনা, ৭.তবে এদের বাইরে আরো কিছু চাইলে তারা হবে সীমালংঘনকারী, ৮.যারা আমানাত ও ওয়াদা-প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে, ৯.যারা তাদের সালাতগুলোর হিফাযাত করে। ১০.এরা উত্তরাধিকারী, ১১.এরা উত্তরাধিকার রূপে পাবে আলফিরদাউস, যেখানে তারা থাকবে চিরদিন। [সূরা আল মু’মিনূন: ১-১১]
যারা নেক আমল করে তারা সফল
একটি মানুষ সফল হতে প্রথমে তার ঈমান পরিশুদ্ধের পাশাপাশি নেক আমলে জোর দিতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন, ‘‘অতঃপর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে তাদের রব পরিণামে তাদেরকে স্বীয় রহমতে প্রবেশ করাবেন। এটিই সুস্পষ্ট সাফল্য।’’ [সূরা জাসিয়া : ৩০] কুরআনুল কারীমে বলা হচ্ছে, ‘নিশ্চয়ই যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। যার তলদেশে প্রবাহিত হবে নহরসমূহ এটাই বিরাট সফলতা।’ [সূরা বুরূজ : ১১]
পরিশুদ্ধ ব্যক্তিরাই সফল
সূরা আল আ‘লা-র ১৪ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে, “সফলকাম হয়েছে সেই ব্যক্তি যেই ব্যক্তি পরিশুদ্ধি লাভ করেছে। এবং সূরা আশ্ শামস-এর ৯ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে, “সফলকাম হয়েছে সেই ব্যক্তি যেই ব্যক্তি আপন সত্তাকে পরিশুদ্ধ করে নিয়েছে।”
সত্যবাদীরাই সফল
সততা ছাড়া সফলতার কল্পনাই করা যায় না। কেননা, অসৎ মানুষকে কেউ বিশ্বাস করতে পারে না। তাই সফলতা পেতে দুনিয়াতে অবশ্যই সত্যবাদী হতে হবে। যার ফলে পরকালেও এই সততা ব্যক্তির উপকারে আসবে। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন, ‘‘এটা হল সেই দিন যেদিন সত্যবাদীগণকে তাদের সততা উপকার করবে। তাদের জন্য আছে জান্নাতসমূহ। যার নিচে প্রবাহিত হবে নদীসমূহ। সেখানে তারা হবে স্থায়ী। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন, তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে। এটা মহা সাফল্য।’’ [সূরা মায়িদা : ১১৯]
যারা আল্লাহকে ভয় করে তারাই সফল
আল্লাহভীতি ও তাকওয়া বান্দার সফলতার উৎস। কোনো কাজে যদি বান্দার আল্লাহভীতি ও তাকওয়া না থাকে তাহলে অসফলতার কাজ পাইকারীভাবে করতে থাকবে। যার কারণে বান্দা সফলতার মুখ দেখতে পারবে না। আর এজন্যই আল্লাহভীতি অর্জনকারীকে সাফল্যব্যক্তি বলে উল্লেখ করে মহান আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন, ‘‘আর যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আনুগত্য করে, আল্লাহকে ভয় করে এবং তাঁর তাকওয়া অবলম্বন করে, তারাই সফল ও কৃতকার্য।’’ [সূরা নূর : ৫২]
“হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর, তাঁর নৈকট্য অন্বেষণ কর এবং তাঁর পথে জেহাদ কর যাতে তোমরা সফলকাম হও। [ সূরা মায়েদা : ৩৫ ]
ধৈর্যশীলরাই সফল
পৃথিবীতে বেশির ভাগ মানুষ একে অপরের উন্নতি বা সফলতা দেখে হিংসা করতে শুরু করে। উন্নতির বাধা স্বরূপ ব্যক্তিকে করে নানা তিরষ্কার। তাতেও যদি ব্যক্তিটি উন্নতির শিখড়ে পৌঁছে যায় তাহলে করে নির্যাতন ও নিপীড়ন। যারা এ তিরষ্কার, নির্যাতন ও নিপীড়ন ধৈর্যধারণ করে সামনে এগিয়ে যায় তারাই হবে সফলকাম। কুরআনের ভাষায়, ‘‘নিশ্চয়ই আমি তাদের ধৈর্যের কারণে আজ তাদেরকে পুরস্কৃত করলাম, নিশ্চয়ই তারাই হল সফলকাম।’’ [সূরা মুমিনূন : ১১১]
আল্লাহর দলই সফলকাম হবে: “আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী এমন কোন স¤প্রদায় তুমি পাবে না যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরোধিতাকারীদেরকে ভালবাসে- হোক না এই বিরোধীরা তাদের পিতা অথবা পুত্র অথবা তাদের ভাই অথবা তাদের জ্ঞাতি গোষ্ঠী। আল্লাহ এদের অন্তরে ঈমান বদ্ধমূল করে দিয়েছেন, আর নিজের পক্ষ থেকে রূহ দিয়ে তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন। তাদেরকে তিনি দাখিল করবেন জান্নাতে যার তলদেশ দিয়ে বয়ে চলেছে নদী-নালা, তাতে তারা চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট আর তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট। এরাই আল্লাহর দল; জেনে রেখ, আল্লাহর দলই সাফল্যমন্ডিত।” [সূরা মুজাদালা : ২২]
আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্যকারীরা সফল
“তিনি তোমাদের আমল-আচরণ সংশোধন করবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করবেন। যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করে, সে অবশ্যই মহা সাফল্য অর্জন করবে। [ সুরা আহযাব:৭১ ]
যারা ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে তারাই সফল
“আর যেন তোমাদের মধ্য থেকে এমন একটি দল হয়, যারা কল্যাণের প্রতি আহবান করবে, ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে। আর তারাই সফলকাম।” [সূরা আলে ইমরান : ১০৪]
যারা আল্লাহকে স্মরণ করে তারাও সফলকাম
“হে মুমিনগণ, যখন তোমরা কোন দলের মুখোমুখি হও, তখন অবিচল থাক, আর আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফল হও।” [ সুরা আনফাল :৪৫ ]
তাওবাকারী সফলকাম
“হে মুমিনগণ, তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তাওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।” [সূরা আন নূর : ৩১] পরকালে মহাদিবসে প্রতিটি মানুষকেই তার দুনিয়ার জিন্দেগির হিসাব দিতে হবে। সেদিন প্রশ্ন করা হবে না কে জিপিএ ৫, কে গোল্ডেন পেয়েছো, কে ডাক্তার হয়েছো, কে ইঞ্জিনিয়ার হয়েছো বরং সেদিন পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর না দেওয়া পর্যন্ত কোনো মানবসন্তানকে এককদমও সামনে এগোতে দেওয়া হবে না। এ প্রসঙ্গে ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতের দিন আদমসন্তানকে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে এককদমও স্বস্থান থেকে নড়তে দেওয়া হবে না। ১. তার জীবনকাল কিভাবে অতিবাহিত করেছে, ২. যৌবনের সময়টা কিভাবে ব্যয় করেছে, ৩. ধনসম্পদ কিভাবে উপার্জন করেছে, ৪. তা কিভাবে ব্যয় করেছে, ৫. সে দ্বীনের যতটুকু জ্ঞানার্জন করেছে সেই অনুযায়ী আমল করেছে কি না।” [জামে তিরমিযী : ৪/২৪১৬]
সাত শ্রেণির লোক সফল
আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সাত শ্রেণির লোক কে আল্লাহ তা‘আলা তার ছায়া দিবেন যেদিন তার ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়া থাকবে না
১. ন্যায়পরায়ন রাজা বা বাদশাহ।
২. ঐ সকল ব্যক্তি যারা যৌবনকালে আল্লাহর ইবাদতবন্দেগীতে সময় কাটিয়েছে।
৩. ঐ সকল ব্যক্তি যারা আল্লাহর স্মরণ এবং নামাজের উদ্দেশ্যে সার্বক্ষণিক নিজের অন্তর মাসজিদের সাথে সম্পৃক্ত রেখেছে।
৪. ঐ সকল ব্যক্তি যারা একাকীত্বে, গোপনে ও নির্জনে আল্লাহর ভয়-ভীতি ও আল্লাহর প্রেম-প্রীতিতে কান্নাকাটি ও রোনাজারি করেছে।
৫. ঐ দুই ব্যক্তি যারা পরস্পরে খালেস নিয়তে একমাত্র আল্লাহর রেজা ও সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে অন্তর থেকে একে অপরকে ভালবেসেছে। সেই ভালবাসা প্রকাশ্যে যেমন গোপনেও ছিল তেমনি, কোন অবস্থাতেই তার মাঝে কোন তারতম্য বা লোক দেখানো খায়েশ ছিল না।
৬. ঐ সকল ব্যক্তি যারা আল্লাহর রাহে এমন ভাবে দান-খয়রাত করেছে যে, আল্লাহ্ এবং একমাত্র ঐ ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউই তা জানতে পারেনি।
৭. ঐ সকল ব্যক্তি যাদেরকে রূপসী সুন্দরী রমণী এবং অর্থ-বিত্তশালীরা পাপ কার্যের (যিনার দিকে আহবান জানিয়েছে)। অথচ সুযোগ থাকা সত্তে¡ও একমাত্র আল্লাহর ভয়ে তা প্রত্যাখান করেছে।” [বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৭০১, বাংলা মেশকাত হা/৬৪৯]
জান্নাতী ব্যক্তি সফল
কুরআনুল কারীমে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘‘আর মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীরা একে অপরের বন্ধু। তারা ভাল কাজের আদেশ দেয় আর অন্যায় কাজ থেকে নিষেধ করে। আর তারা সালাত কায়েম করে, জাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.)-এর আনুগত্য করে। এদেরকে আল্লাহ শীঘ্রই দয়া করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। আল্লাহ মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে জান্নাতের ওয়াদা দিয়েছেন। যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হবে নহরসমূহ। তাতে তারা চিরদিন থাকবে এবং (ওয়াদা দিচ্ছেন) স্থায়ী জান্নাতসমূহে পবিত্র বাসস্থানসমূহের। আর আল্লাহর পক্ষ থেকে সন্তুষ্টি সবচেয়ে বড়। এটাই মহাসাফল্য।’’ [সূরা তাওবা : ৭১-৭২] সবশেষে বলতে চাই, আখিরাতের ব্যর্থতাই চূড়ান্ত ব্যর্থতা আর আখিরাতের সফলতাই চূড়ান্ত সফলতা। মহান আল্লাহ আমাদেরকে পরকালীন সফলতা তথা জান্নাত-উপযোগী মানুষ হিসেবে নিজেদের প্রস্তুত করার তাওফিক দিন। আমীন।
লেখক : প্রাবন্ধিক, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন