দি সিটি ব্যাংক লিমিটেডের ৩৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা আজ বৃহষ্পতিবার (১৩ আগস্ট) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার।
ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হোসেন খালেদ, পরিচালক তাবাসসুম কায়সার, হোসেন মেহমুদ, রফিকুল ইসলাম খান, সৈয়দা শায়রীন আজিজ, সাভেরা এইচ মাহমুদ, স্বতন্ত্র পরিচালক ফারুক সোবহান, ড. সেলিম মাহমুদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মারুফ এবং বিপুল সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার তাঁর বক্তব্যে করোনা মহামারীর সময়ে ব্যাংকিং সেক্টরে নানাবিধ চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে ক্রমান্বয়ে সেগুলো থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার লক্ষ্যে সচেষ্ট থাকার কথা জানান। তিনি ব্যাংকের সম্ভাবনাময় সুযোগগুলো ও উল্লেখযোগ্য দিকগুলোর একটি চিত্র তুলে ধরেন।
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ অনুযায়ী ব্যাংকের নিরীক্ষিত বার্ষিক আর্থিক বিবরণী সভায় উপস্থাপন করা হয় এবং সম্মানিত শেয়ারহোল্ডাররা ব্যাংকের কার্যক্রমের উপর আলোচনা করেন।
সভায় চেয়ারম্যান জানান যে, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকের মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ৪৬৮ দশমিক ৯০ কোটি টাকা যা পূর্ববর্তী বছরে ছিল ৩২ হাজার ৪৭৮ দশমিক ০৩ কোটি টাকা, যার প্রবৃদ্ধির পরিমাণ দাঁড়ায় ২ হাজার ৯৯০ দশমিক ৮৭ কোটি টাকা অর্থাৎ ৯ দশমিক ২১ শতাংশ। ২০১৯ সালে ব্যাংক থেকে প্রদানকৃত ঋণের পরিমাণ ২৪ হাজার ৬৯৪ দশমিক ৩৭ কোটি টাকা যা পূর্ববর্তী বছরে ছিল ২৩ হাজার ১৩৯ দশমিক ১৫ কোটি টাকা, যার প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়ায় ১ হাজার ৫৫৫ দশমিক ২২ কোটি টাকা অর্থাৎ ৬ দশমিক ৭২ শতাংশ। ২০১৯ সালে ব্যাংকের আমানত ৪ হাজার ১৫৩ দশমিক ৩৫ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৬৭০ দশমিক ৩৭ কোটি টাকা যা পূর্ববর্তী বছরে ছিল ২০ হাজার ৫১৭ দশমিক ০২ টাকা, যার প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়ায় ২০ দশমিক ২৪ শতাংশ।
সিটি ব্যাংক ২০১৯ সালে ট্যাক্স পরবর্তী নিট মুনাফা অর্জন করে ২৪৭ দশমিক ১৬ কোটি টাকা যা পূর্ববর্তী বছরে ছিল ২০১ দশমিক ৭৯ কোটি টাকা যার প্রবৃদ্ধির পরিমাণ ৪৫ দশমিক ৩৭ কোটি টাকা অর্থাৎ ২২ দশমিক ৪৮ শতাংশ। ২০১৯ সালে শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ দশমিক ৪৩ টাকা যা পূর্ববর্তী বছরে ছিল ১ দশমিক ৯৯ টাকা।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মাসরুর আরেফিন ব্যাংকের কর্মকা-ের সার্বিক চিত্র শেয়ারহোল্ডারদের কাছে তুলে ধরেন এবং ব্যাংকের প্রতি তাদের দীর্ঘদিনের আস্থার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। একই সঙ্গে তিনি সার্বক্ষণিক সহায়তা ও দিকনির্দেশনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনসহ সকল নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এবং ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
৩৭তম ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম বার্ষিক সভায় পরিচালনা পরিষদ থেকে সুপারিশকৃত ১৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ট অনুমোদনের জন্য উপস্থাপিত হলে তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত ও অনুমোদিত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন