শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

রামমন্দির নাগরিকত্ব আইন নাগরিক পঞ্জী ও কাশ্মীর: অবশেষে হিন্দুরাষ্ট্র হলো ভারত

মোবায়েদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ১৮ আগস্ট, ২০২০, ১২:০১ এএম

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা ধার করে বলছি, গত ৫ আগস্ট বুধবার ২০২০ সাল, সমগ্র ভারতবাসীর ৫ শত বছরের লালিত স্বপ্ন পূরণ হলো এবং ৫০ বছরের সংগ্রাম সফল হলো। হিন্দু সম্প্রদায়ের ভগবান রাম গত ৫ শত বছর ধরে পর্ণ কুটিরে বাস করতেন। এখন থেকে তিনি তাঁর যোগ্য স্থান রামমন্দিরে স্থায়ীভাবে বাস করবেন। গত ৫ আগস্ট বুধবার ইট বা পাথরের পরিবর্তে ৪০ কেজি রূপার ইট দিয়ে ভূমিপূজার মাধ্যমে রামমন্দিরের শিলান্যাস করা হয়েছে। ভারতীয় বাঙালিরা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকে শিলান্যাস বলে। ৫ আগস্টের অসাধারণ গুরুত্ব বর্ণনা প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদি তাঁর দীর্ঘ বক্তৃতার একস্থানে বলেন, ‘১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট বৃটিশ শাসন থেকে ভারত স্বাধীনতা লাভ করে। এই দিনটি ছিল সমগ্র ভারতবাসীর জন্য অতীব আনন্দের দিন। ঠিক তেমনি আজ অর্থাৎ ৫ আগস্ট রামমন্দিরের শিলান্যাস সব শ্রেণির ভারতবাসীর জন্য ঠিক ১৫ আগস্টের মতোই আনন্দের দিন।’ ১৫ আগস্ট সম্পর্কে নরেন্দ্র মোদি যা বলেছেন সে ব্যাপারে বিতর্কের কোনো অবকাশ নাই। কারণ ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস। ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে সকলের জন্য আনন্দের দিন। অনুরূপভাবে ১৪ আগস্ট ভারত ভেঙে পাকিস্তান স্বাধীন হয়। তাই ১৪ আগস্ট হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে সমস্ত পাকিস্তানির জন্য আনন্দের দিন।

কিন্তু তাই বলে ৫ আগস্ট রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের দিনটি সব শ্রেণির ভারতবাসীর জন্য আনন্দের দিন হবে কীভাবে? বর্তমানে ভারতে ১৩০ কোটি মানুষ বসবাস করেন। এদের মধ্যে ১৮ শতাংশ মানুষ মুসলমান। এই ১৮ শতাংশ মানুষের সংখ্যা হলো ২৩ কোটি ৪০ লক্ষ। অবশ্য হিন্দুত্ববাদীদের কেউ কেউ বলেন যে, মুসলমানদের সংখ্যা ১৮ শতাংশ নয়, ১৪ শতাংশ। হিন্দু মুসলমানের প্রকৃত সংখ্যা জানা যাবে আগামী বছর। ২০২১ ভারতের সর্বশেষ আদমশুমারীর ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার কথা। যদি তর্কের খাতিরে ধরে নেওয়া হয় যে, ভারতে মুসলমানদের সংখ্যা ১৪ শতাংশ তাহলেও সেই সংখ্যা ১৮ কোটি ২০ লক্ষ হওয়ার কথা। তো মুসলমানদের সংখ্যা ২৩ কোটি ৪০ লক্ষ হোক বা ১৮ কোটি ২০ লক্ষ হোক- যেটাই হোক না কেন, এই কোটি কোটি মুসলমানের জন্য রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন আনন্দ সংবাদ হতে যাবে কেন? মুসলমানরা যেমন আনন্দ করবেন না, তেমনি দুঃখও করবেন না। যার যে ধর্ম সে সেটা পালন করুক। তার ধর্মীয় উৎসবে সে আনন্দ করুক, এটা তার ব্যাপার। কিন্তু যখন বলা হয় যে, এটি ১৫ আগস্টের মতো সমস্ত ভারতীয়দের জন্য আনন্দ সংবাদ, তখন বলতেই হবে যে, এই কথার মধ্যে এক সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক মতলব নিহিত আছে। কী সেই মতলব? এ সম্পর্কে আমরা কিছুক্ষণ পর আলোচনা করবো। তার আগে দেখি, তাদের শিলান্যাস উপলক্ষে আর কী কী ঘটেছে এবং অন্যেরা আর কী কী বলেছেন।

দুই
নরেন্দ্র মোদি বলেন, আজ নতুন ভারতের জন্ম হলো। বিভিন্ন সময়ে হিন্দুধর্মের পুনরুজ্জীবন হলো। আজ হিন্দুধর্মের যে পুনরুজ্জীবন হলো সেটি ভারতকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে নিয়ে যাবে। শিলান্যাস বা ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন সারাভারতের প্রায় সমস্ত রাজ্য থেকে মাটি এনে নির্মীয়মান রামমন্দিরে জড়ো করা হয়। সারাভারতের দুই হাজার নদী থেকে পানি আনা হয়। এগুলো একত্র করে এটিকে সর্বভারতীয় রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। ঘোষণা করা হয় যে, রামমন্দির শুধুমাত্র মন্দিরই হবে না। এটি হবে আধুনিক হিন্দু সংস্কৃতির প্রতীক। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, অযোধ্যা আজ (৫ আগস্ট) থেকে মুক্ত। অযোধ্যাকে বানানো হবে এমনই এক মন্দির নগরীরূপে, যেটি দেখতে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ যেন ছুটে আসে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্ব্যর্থহীন এবং বলিষ্ঠকণ্ঠে ঘোষণা করেন যে, ভারতের আদর্শ হলো ভগবান রাম। রামের প্রদর্শিত আদর্শের মধ্য দিয়েই সমস্ত ভারতবাসীর বিকাশ ঘটবে।

বিজেপির দ্বিতীয় শক্তিশালী ব্যক্তি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ফলে শিলান্যাস বা ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে হাজির হতে পারেননি। এই উপলক্ষে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে অমিত শাহ বলেন, ‘আজ ভারতের জন্য এক ঐতিহাসিক এবং গর্বের দিন। রামের জন্মভ‚মিতে এক বিশাল মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের সুমহান সভ্যতা ও সংস্কৃতির ইতিহাসে এক সুবর্ণ অধ্যায় রচনা করেছেন। আজ এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো।’

উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ১৯৯২ সালের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত অযোধ্যার যে স্থানে বাবরি মসজিদ দাঁড়িয়ে ছিলো, ঠিক সেই স্থানে রামমন্দির নির্মাণের পক্ষে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়। ১৯৯২ সালের ৬ নভেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কংগ্রেসের নরসীমা রাও। অর্থাৎ কংগ্রেস তখন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতায় ছিলো। ৫ আগস্ট সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অযোধ্যার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। তাঁর সাথে ছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ বা আর এস এসের প্রধান মোহন ভগত, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথ প্রমুখ।
এই উপলক্ষে প্রদত্ত বাণীতে ভারতীয় পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহ ভারতবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, শিলান্যাস ‘প্রতিটি ভারতবাসীর’ দীর্ঘ দিনের আকাক্সক্ষার পূরণ ঘটালো।

গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানী স্লােগানে বলেন, ‘জয় শ্রী রাম। ৫ আগস্ট ভারতের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখিত থাকবে। রামলালা মন্দিরের ভূমিপূজার মাধ্যমে ৫শত বছরের সাধনা ও সংগ্রাম আজ সফল হলো। দিওয়ালী উৎসব যেমন সারাভারতকে মাতিয়ে রাখে, তেমনি এই ভূমিপূজা উৎসব সারাভারতকে মাতিয়ে রেখেছে। আরও অভিনন্দন বাণী পাঠান দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
তিন
এই একটি ইস্যুতে ভারতের সমগ্র হিন্দু সম্প্রদায় এবং সমস্ত রাজনৈতিক দলকে এক সুরে কথা বলতে দেখা যায়। ব্যতিক্রম ছিলো না প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসও। কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীকেও একই সুরে বাণী দিতে দেখা যায়। তবে একমাত্র ব্যতিক্রম দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে। ‘প্রভু রামের আদর্শ সমগ্র ভারতীয় জনগোষ্ঠিকে ঐক্যবদ্ধ করবে’ এমন কথা না বলে মমতা ব্যানার্জী বলেন, ‘বৈচিত্র্যের মাঝেই ভারতের ঐক্য। হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান, জৈন, শিখ প্রভৃতি সকল সম্প্রদায়ের মানুষ মিলে ভারত। তাদের বৈচিত্র্যের মাঝেই ঐক্য।’ মন্দির নির্মাণ ট্রাস্ট প্রধান নৃত্য গোপাল দাস বলেন, রামমন্দির নির্মাণ আর ভারতকে নির্মাণ করা সমার্থক।
অবশেষে আসল কথা বলেছেন আর এস এস প্রধান মোহন ভগত। এই আর এস এসই হলো হিন্দুত্ববাদীদের মাদার অর্গানাইজেশন। তাদেরই শাখা প্রশাখা হলো বিশ্বহিন্দু পরিষদ, বজরং দল, কর সেবক প্রভৃতি। কর সেবকরা হলো তাদের জঙ্গী ক্যাডার। বিজেপি তাদের রাজনৈতিক শাখা। আর এস এস থেকেই বিজেপিতে পাঠানো হয়েছে নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, যোগী আদিত্য নাথ প্রমুখ নেতাকে। সমগ্র ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র বানানোর নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আর এস এস বা রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ। আর এস এস এর বিভিন্ন শাখা প্রশাখাকে বলা হয় সংঘ পরিবার।

আর এস এসের জন্ম ১৯২৫ সালে। সেই হিসাবে তাদের বয়স ৯৫। ১৯৮০ সালে, জন্মের ৫৫ বছর পর তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে, মুসলিম আদর্শ ও ঐহিত্যকে তছনছ করে হিন্দুত্ব তথা হিন্দু আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে হলে তাদেরকে বাবরি মসজিদ ভাঙতে হবে এবং সেই জায়গায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ১২ বছর পর তারা বাবরি মসজিদ ভাঙতে সমর্থ হয়। অথচ তখন ভারতের কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিলো কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী ছিলেন পি ভি নরসীমা রাও। তাঁর নাকের ডগার ওপর দিয়ে আর এস এসের ক্যাডার বাবরি মসজিদ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। আর এস এসের ক্যাডাররা বাবরি মসজিদের মতো এতবড় একটি মসজিদ ভেঙে চুরমার করলো, অথচ পুলিশ স্থানুর মতো দাঁড়িয়ে শুধু দেখলো। তাহলে কি একথা বলা অন্যায় হবে যে, বাবরি মসজিদ ভাঙায় কংগ্রেস সরকারেরও মৌন সম্মতির লক্ষণ ছিলো? আসলে বিজেপি বলুন, কংগ্রেস বলুন, সমাজবাদী পার্টি বলুন, আর বহুজন সমাজবাদী পার্টি বলুন- একমাত্র মমতা ব্যানার্জীর তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া ভারতে মুসলিম বিরোধিতায় সব রসুনের গোড়া এক।

বাবরি মসজিদ ধুলিস্মাৎ হলো। ২০ কোটি মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। মুসলমানদের আহত অনুভূতির প্রতি বিন্দুমাত্র সহানুভূতি তো দূরে থাক, তাদের হৃদয়ের রক্তক্ষরণকে বিন্দুমাত্র পাত্তা দেয়নি বিজেপি বা আর এস এস। মুসলমানদেরকে গণনার মধ্যে না ধরেই রামের আদর্শে তারা সারা ভারতকে গড়ে তুলতে চায়। তাই কোনো রাখঢাক না করে আর এস এস মুখপাত্র ‘অর্গানাইজারের’ ২৯ জুলাই সম্পাদক প্রফুল্ল কেটকর সোজা সাপ্টা লিখেছেন, ‘রাম জন্মভূমি মুক্ত করার সংগ্রাম কোনো ধর্মীয় আন্দোলন ছিলো না। এটা হলো, ভারতের ইতিহাসকে নতুন করে লেখার প্রচেষ্টা।’

সাময়িক বিপর্যয়ে আর এস এস কোনো দিন দমে যায়নি। বরং ঠান্ডা মাথায় তাদের অবস্থানকে সংহত করেছে এবং হিন্দুরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে তাদের অধ্যাবসায় অপরিসীম। তাই দেখা যায়, ১৯৮৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে আর এস এসের পলিটিক্যাল উইং বিজেপি পায় মাত্র ২টা আসন, ভোট পায় ৭ শতাংশ। ৩০ বছর পর ২০১৪ সালে তারা পায় ২৮২টি আসন। ভোট পায় ৩১ শতাংশ এবং সরকার গঠন করে। সবশেষে ২০১৯ সালে তারা আসন পায় ৩০৩টি এবং ভোট বেড়ে হয় ৩৭ শতাংশ। নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে এবার আরও স্ট্রং সরকার গঠন করেছেন নরেন্দ্র মোদি।

এই মুহূর্তে ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের ১৬টিতে বিজেপির সরকার রয়েছে অথবা কোয়ালিশন সরকারের নেতৃত্ব করছে তারা। হিন্দুধর্মভিত্তিক রাজনীতি করার জন্য জনগণ তাদেরকে সাম্প্রদায়িক হিসাবে চিহ্নিত করে ধিক্কার জানায়নি। বরং ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করার জন্য ১৬টি প্রদেশ এবং কেন্দ্রে ক্ষমতায় বসিয়ে জনগণ তাদেরকে বিপুলভাবে পুরুস্কৃত করেছে।

বাংলাদেশে ইসলাম ও মুসলমানদের কথা বললেই মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার অপবাদ লাগানো হয়। তথাকথিত সেক্যুলাররা বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে সব ধর্মকে নয়, শুধুমাত্র পবিত্র ইসলামকে নির্বাসন দেওয়ার জন্য অষ্টপ্রহর ক্রুসেড চালাচ্ছে। কিন্তু ভারতের দিকে তাকিয়ে দেখুক। অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভ‚মিপূজাকে কংগ্রেস সমর্থন করেছে। শিলান্যাসের জন্য কংগ্রেস ১১টি রূপার ইট পাঠিয়েছে। কংগ্রেস এতদিনকার মধ্যপন্থী (সেন্ট্রিস্ট) রাজনীতি থেকে এবার দক্ষিণে হেলেছে। বিজেপির ধর্মীয় রাজনীতির কাছে কংগ্রেস নতজানু হয়েছে।

হিন্দুরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে চলেছে আর এস এস এবং তার পলিটিক্যাল উইং বিজেপি। কাশ্মীরকে ডিমুসলিমাইজ করার জন্য ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫(ক) অনুচ্ছেদ বাতিল করেছে। জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল বানিয়েছে। আগে অন্য কোনো প্রদেশের কোনো পুরুষ কোনো কাশ্মীরি নারীকে বিয়ে করতে পারতো না। এখন সেটিও পারবে। আসামে নাগরিক পঞ্জী করে মুসলমান খেদানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সারাভারতে নাগরিক পঞ্জী করা হবে। নাগরিক আইন সংশোধন করে সারা ভারত থেকে মুসলমান তাড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। অবশ্য মমতা ব্যানার্জী পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম বিরোধী পদক্ষেপ ঠেকিয়ে দিয়েছেন। সর্বশেষে রামমন্দিরের শিলান্যাস হলো।
আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না করলেও ধর্মনিরপেক্ষতার কবর রচনা করে দ্রুত হিন্দুরাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে ভারত। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা টুকুই বাকী।
journalist15@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (14)
Rafi Hasan ১৮ আগস্ট, ২০২০, ১:০১ এএম says : 1
গজব আসতে দেরি নাই ইনশ্আল্লাহ্
Total Reply(0)
JC Chy ১৮ আগস্ট, ২০২০, ১:০২ এএম says : 0
Muslimgon gomaw r munafiqi Koro
Total Reply(0)
Tanweir Elahee ১৮ আগস্ট, ২০২০, ১:০২ এএম says : 0
All Indian wants it and that's why Modi govt can established this Hindusm in India so please don't blame Modi
Total Reply(0)
Mostafij Tohin ১৮ আগস্ট, ২০২০, ১:০৩ এএম says : 0
Allah is one .
Total Reply(0)
মশিউর ইসলাম ১৮ আগস্ট, ২০২০, ১:০৪ এএম says : 0
ভারতকে শুধু হিন্দু রাষ্ট্র বললে ভুল হবে, মোদির ভারত এখন চরম উগ্রবাদী হিন্দু রাষ্ট্র।
Total Reply(0)
তোফাজ্জল হোসেন ১৮ আগস্ট, ২০২০, ১:০৪ এএম says : 0
আবার অন্যভাবে ভলা যায়, ভারত একটা চরম মুসলিম বিদ্বেষী উগ্রবাদী রাষ্ট্র।
Total Reply(0)
তাসফিয়া আসিফা ১৮ আগস্ট, ২০২০, ১:০৫ এএম says : 0
মোদির সরকারের মূল এজেন্ডা হচ্ছে ভারত থেকে মুসলিম নিধন করে উগ্র হিন্দুত্ববাদ কায়েম করা, ইতোমধ্যে অনেক দূর তা বাস্তবায়ন করে ফেলেছে।
Total Reply(0)
হোসাইন এনায়েত ১৮ আগস্ট, ২০২০, ১:০৬ এএম says : 0
শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ইনশায়াল্লাহ অদূর ভবিষ্যতে মুসলিমরা আবারও ভারত শাসন করবে।
Total Reply(0)
Jamal Uddin ১৮ আগস্ট, ২০২০, ১:১৬ পিএম says : 0
একদম ঠিক কথা বলেছেন।
Total Reply(0)
নওরিন ১৮ আগস্ট, ২০২০, ১:১৭ পিএম says : 0
সত্য তুলে ধরায় মোবায়েদুর রহমান সাহেবকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি
Total Reply(0)
Jahangir hossain ১৮ আগস্ট, ২০২০, ৪:৫২ পিএম says : 0
ভারত হবে বাইশ টুকরোতে বিভক্ত তাদের ১০০ বছর শাসনবর্ষে।
Total Reply(0)
Jahangir hossain ১৮ আগস্ট, ২০২০, ৪:৫৩ পিএম says : 0
ভারত তাদের ১০০ বছর শাসন কালের মধ্যেই ২২ টি ছোট ছোট দেশে বিভক্তি হবে।
Total Reply(0)
AK aman ১৯ আগস্ট, ২০২০, ৫:০৪ পিএম says : 0
-stop border killings -stop CAA and NRC as these are made directing to MUSLIMS and Bangladesh. India is a new Super power and Bangladesh is a New MEXICO of India . It appeared all Bangladeshi are dying to go India for their supreme citizenship ! -stop oppressing minority inside India and they can learn from us , If we look at Bangladesh top jobs its all pro-deeps and dashes . But if we look at india no Khans are in police. -protect minority religious places . This is easy to break but most good people with humanity shield the minority faith. -stop publishing fake news by Indian newspaper about Bangladesh. -take a fair share of rohiga as burma also indian neigbour. or help bangladesh directly on this, which you will never. -STOP conspiracy against our garments industry.
Total Reply(0)
Md. Siddiqur rahman ২৩ আগস্ট, ২০২০, ৭:২০ এএম says : 0
Don't forget gajwa e hind. Insha Allah the muslim will rull India again
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন