ইসরাইলের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সম্ভাবনা স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা দেয়া না হলে, পাকিস্তান ইসরাইলকে কখনোই স্বীকৃতি দেবে না।’ মঙ্গলবার একটি বেসরকারী নিউজ চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমরান খান একথা বলেন।
সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত ফিলিস্তিনি জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে ইসরাইলের সাথে স্বাভাবিক ক‚টনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ইমরান খান বলেন, ‘আমাদের অবস্থান প্রথম দিন থেকেই খুব স্পষ্ট। কায়েদে আজম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেছেন যে, ফিলিস্তিনের জনগণ অধিকার ও রাষ্ট্র না পাওয়া পর্যন্ত পাকিস্তান কখনই ইসরাইলকে রাষ্ট্র হিসাবে মেনে নিতে পারে না।’ তিনি বলেন, ‘ভারতের অবৈধভাবে দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের (আইআইওজেকে) বিষয়ে পাকিস্তান যেমন অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে না, তেমনি ইসারাইলকেও রাষ্ট্র হিসাবে মেনে নেয়া সম্ভব নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘কাশ্মীরের মতোই ফিলিস্তিনিদের অধিকার ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে এবং তারা ইসরাইলি নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।’
সউদী আরবের সাথে ইসলামাবাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে বলে প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সউদী আরব পাকিস্তানের মূল মিত্র।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি দেশ তার নিজস্ব বিদেশনীতি এবং জাতীয় স্বার্থ অনুসারে সিদ্ধান্ত নেয়। আমাদের ভ‚মিকা সমগ্র মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করা যা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং কাজ এবং আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’
প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় গত বৃহস্পতিবার ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সম্মত হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। শিগগিরই আরব আমিরাত ও ইসরাইলি কর্মকর্তারা হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক চুক্তিতে সই করবেন। ইরান, তুরস্ক, পাকিস্তানসহ বেশিরভাগ মুসলিম দেশ এ চুক্তির নিন্দা জানিয়েছে। অপরদিকে পশ্চিমা দেশগুলো এ চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। ইসরাইল এ চুক্তিকে ঐতিহাসিক হিসেবে উল্লেখ করেছে এবং আমিরাত দাবি করেছে, এ চুক্তির ফলে মধ্যপ্রাচ্য বদলে যাবে। তবে ফিলিস্তিন আমিরাতের এ চুক্তিকে বিশ্বাসঘাতকতা বলে উল্লেখ করেছে। সূত্র : পাকিস্তান ট্রিবিউন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন