করোনা পরীক্ষার নামে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। এক মহিলার গোপনাঙ্গ থেকে নমুনা সংগ্রহ করলেন এক ল্যাব টেকনিশিয়ান। মহারাষ্ট্রের অমরাবতীর এই ঘটনায় অভিযুক্ত টেকনিশিয়ানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনায় তাজ্জব প্রশাসনিক কর্তারাও। রাজ্যের মহিলা ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী যশোমতি ঠাকুর এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে অভিযুক্ত টেকনিশিয়ানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগকারিণী অমরাবতীর এক শপিং মলে কর্মরত। ২৪ জুলাই সেই শপিং মলের এক কর্মী করোনা আক্রান্ত হন। তাঁর সংস্পর্শে এসেছিলেন মলের কর্মীরা। ফলে তড়িঘড়ি কোভিড পরীক্ষা করতে ছোটেন শপিং মলের ২৫ জন কর্মী। তাঁদের মধ্যে ওই মহিলাও ছিলেন।
গত মঙ্গলবার অমরাবতীর ওই মলের ২৫ জন স্টাফের নাক থেকে সোয়াব সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেইসময় ২৪ বছরের ওই মহিলাকে আলাদা করে ডেকে, কোভিড পরীক্ষার অছিলায় গোপনাঙ্গ থেকে সোয়াব সংগ্রহ করে অভিযুক্ত। ঘটনায় হতচকিত মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে, মঙ্গলবার রাতেই ওই ল্যাব টেকনিশিয়ানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ছাড়াও ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
এর আগে কোভিড কেয়ার সেন্টারেও করোনা আক্রান্ত এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল মুম্বইয়ে। এবার করোনা পরীক্ষার নামে শ্লীলতাহানি করা হল। স্বাভাবিকভাবেই একের পর এক এই ঘটনায় মহারাষ্ট্রে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে।
সূত্র : আজকাল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন