ছবিতে কি দেখছো, দুটো গোল চাকতি। দেখতে বাথরুমের ট্যাংকির মতো মনে হয়, তাই না? কিন্তু ট্যাংকি নয়। বাথরুমের ট্যাংকি একটি থেকে আর একটির দূরত্ব কমপক্ষে এক গজের মতো। কিন্তু এ ট্যাংকি একেবারেই কাছাকাছি। বল তো এর রহস্য? তাহলে রহস্যটা একটু খুলেই বলি। এই বাড়ির উঁচু ঢিবি কারো কারো মতে কয়েক হাজার বছরের পুরনো। অতীতে বহু মানুষ এখানে বাস করে গেছে। বহু পাকা ঘরবাড়ি ছিল এখানে। বর্তমানে অতিলোভী হাবিবুর এই ঢিবিতে বাস করে। মাটির নিচে সোনা আছেÑ এটা ভেবে সে একদিন গভীর রাতে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে গোপনে দু’টি গর্ত খোঁড়ে। সকাল বেলা হাবিবুরের কা- দেখে মানুষ চমকে উঠে। লোভী হাবিবুরকে মন্দ বলতে থাকে। চার দিকে গুজব ছড়িয়ে পড়ে হাবিবুর সোনার বাটি ও থালা পেয়েছে ঐ ট্যাংকির গর্ত থেকে। সরকারি লোকজন তাকে এই ঢিবি খুঁড়তে নিষেধ করে গেছে। এবং তারা নিজেরাই পরীক্ষা করবেন এই উঁচু ঢিবির নিচে কি আছে এবং এর বয়স কত এসব জানার জন্য। সরকারি দল এই ঢিবিটি পরীক্ষা করলে জানা যাবে এর মাটির নিচে কি আছে। এই ঢিবি খননে কারা জড়িত এলাকাবাসী তাদের কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছে। সরকারকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের কথা ইতিমধ্যে মিডিয়াও উল্লেখ করা হয়েছে।
বন্ধুরা জেনে রেখো এই ঢিবি এখন আমাদের দেশের বড় সম্পদ। একে রক্ষা করা তোমার আমার সবার দায়িত্ব। এই ঢিবিটি রয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগরের দৌতলগঞ্জে।
দুলাল চৌধুরী
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন