ঢাকার ধামরাই প্রেসক্লাবের সহসভাপতি এবং বিজয় টেলিভিশনের প্রতিনিধি সাংবাদিক জুলহাস উদ্দিনের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে আজ শুক্রবার(০৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে ধামরাই প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হয়। এ মানববন্ধন ও শোকসভায় ধামরাই, সাভার, আশুলিয়া, মানিকগঞ্জ ও সাটুরিয়া প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ এলাকাবাসি অংশ গ্রহণ করেন।
জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে উপজেলার বারবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে প্রকাশ্য পেছন দিক থেকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। স্থানীয় জনতা হত্যাকারিদের মধ্যে শাহিন ও মোয়াজ্জেমকে বেড়িকেট দিয়ে আটক করার পর পুলিশে সোপর্দ করে।
নিহত জুলহাস উদ্দিন উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ হাতকোড়া গ্রামের মৃত রহিস উদ্দিনের ছেলে। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে।
এ হত্যাকান্ডে নিহত জুলহাস উদ্দিনের বোন রিনা বেগম বাদী হয়ে পাঁচ জনকে আসামি করে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আরো ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
ধামরাই প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু হাসানের সভাপতিত্বে গ্লোবাল টিভির ষ্ট্যাফ রিপোর্টার তোফা সানির সঞ্চালনায় এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আব্দুর রশিদ তুষার, সমকালের সাংবাদিক মুখলেছুর রহমান, এটিএন বাংলার ষ্ট্যাফ রিপোর্টার শেখ বাসার, , ধামরাই প্রেসক্লাবের নির্বাচন কমিশনার আবুল কালাম আজাদ ও আমিনুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ধামরাই প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনিস উর রহমান স্বপনসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
মানববন্ধনে সাংবাদিকরা বলেন, নিহত জুলহাস উদ্দিনের খুনিদের মধ্যে দুইজনকে ধরা হয়েছে। বাকি খুনিদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এ মানব বন্ধনে প্রায় কয়েকশত সাংবাদিকসহ এলাকাবাসী এ মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসি অনেকেই বলেছেন, নিহত সাংবাদিক জুলহাস উদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রী সোমা আক্তারের সাবেক স্বামী শাহীন মিয়া এ হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশ গ্রহণ করেছে। হত্যাকান্ডের পরপরই ঘাতক শাহীন মিয়াসহ অপর ঘাতক মোয়াজ্জেমকে সাধারণ জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন