শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ভিন্নমতের কারণে ড. মোর্শেদকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে: রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১১:১৮ পিএম

ভিন্নমতের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, কোথাও তো কথা বলার কোনো জায়গা নেই। বিরোধীদল এবং মত কি নির্মমভাবে নিষ্পেষিত হচ্ছে। তাদেরকে বাঁচতেও দিবেনা। তাদের ক্ষুধা নিবৃত্তেরও জায়গা নেই। আপনারা দেখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ড. মোর্শেদ হাসান খান। যিনি নিবেদিতপ্রাণ একজন শিক্ষক। কোনো কারণ ছাড়াই, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন-কানুন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের সায়ত্ত¡শাসন সবকিছুকে পদদলিত ও লংঘন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং তাদের অনুগত সিন্ডিকেটকে দিয়ে তাকে চাকরিচ্যুত করেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এই মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, আমি ছাত্র রাজনীতি করার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আমার সম্পর্ক অনেকদিনের। আমি স্বায়ত্ত¡শাসিত পৃথিবীর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও দেখেছি- পঞ্চাশ-ষাটের দশকে। যেমন জারের আমলে মস্কো বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভেনিজুয়েলাতে সামরিক শাসন, স্বৈরাচারী শাসন চলছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটা জায়গায় স্বায়ত্ত¡শাসন ভোগ করেছে। সকল বিরোধী মত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ করা যেত। আজকে বাংলাদেশে সেই জায়গাটুকুও তারা রাখেনি।
তিনি বলেন, এমন ভয়ঙ্কর এবং পৈশাচিক সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিন্নমত পোষনের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যকে দুমড়িয়ে মুচড়িয়ে কবরস্থ করে বিরোধী মতকে দমন শুধু নয় বিরোধী মতকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়।
রিজভী বলেন, ড. মোর্শেদের মতো একজন শিক্ষক শুধু ভিন্নমত (সরকারের সাথে একমত নন) প্রকাশের কারণে তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩’র আদেশের কোনো পরিপালন হয়নি। অর্থাৎ শুধু গায়ের জোরে, শুধু একজনের কথা বলতে হবে সেটা প্রধানমন্ত্রীর এবং প্রধানমন্ত্রী পরিবারের। তার বাইরে আর কারো কোনো কথা বলা যাবে না। তাদেরই অবদান শুধু স্বীকার করতে হবে। আর কারো অবদান স্বীকার করা যাবে না।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, সর্বশেষ লড়াই পর্যন্ত আমরা করেছি। আমরা দেখেছি সেখানে সরকারের রাষ্ট্রযন্ত্র দিয়ে যত ধরনের প্রতিরোধ করা দরকার, ভোটারদেরকে ভোটকেন্দ্রে আসতে না দেয়া, দিনের ভোট রাত্রে করা ইত্যাদি নানা ঘটনা গেছে। এরপরও আমরা দেখলাম আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে জনগণের শক্তি। এর ওপরই আমরা দাঁড়িয়ে আছি। আমরা নীলাম্ব নয়। বরং আমরা অবলম্বনের ওপরই দাঁড়িয়ে আছি। আমাদের অবলম্বন হচ্ছে জনগণ। আর সরকারের অবলম্বন হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গণতন্ত্রবিরোধী যেসব পদ্ধতিগুলো আছে সেগুলো তারা ব্যবহার করছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন