কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ভাতিজাকে বাঁচাতে গিয়ে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সউদী প্রবাসী চাচা তাইজুল ইসলাম (৩৫) নির্মম ভাবে খুন হয়েছে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে একই পরিবারের আরো তিনজন গুরুতর আহত হয়। গত মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার হাজীপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের গড়মাছুয়া গ্রামের আমিনুল হকের ছেলে মোঃ শামীম মিয়া পাশের মেছেড়া আতকাপাড়া গ্রামের মফিজ আলীর ছেলে মোঃ পারভেজ মিয়া একসাথে বিল্ডিং শ্রমিকের কাজ করতো। পারভেজের কাছে শ্রমিক শামীম মিয়া মুজুরির ৩৫০টাকা পাওনা ছিলো। পাওনা টাকা দিতে অস্বীকার করায় মঙ্গলবার সকালে পারভেজের সাথে শামীমের ঝগড়া হয়। সন্ধ্যায় হাজিপুর বাজারে ইউপি সদস্য রিপন মিয়ার ঘরে সালিশ দরবারের মাধ্যমে পাওনা টাকার বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য শামীমকে খবর দেয় পারভেজ। সালিশের এক পর্যায়ে শামীমকে ঘরে আটকে রেখে শারিরিক নির্যাতন চালানো হয়। খবর পেয়ে শামীমকে উদ্ধার করতে বাবা ও চাচা এগিয়ে এলে প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত পারভেজ গংরা তাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাইজুল ইসলাম (৩৫), আমিনুল হক (৪০),জালাল উদ্দিন (৪১), মোঃ শামীম (২৫) গুরুতর আহত হয়। আশপাশের লোকজন তাদের আশঙ্খাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হোসেনপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাইজুল ইসলামকে মৃত ঘোষনা করেন ও অন্যাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।এ ব্যাপারে হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে এবং জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে। উল্লেখ্য নিহত তাইজুল ৪ মাস পুর্বে সৌদী আরব থেকে ছুটি নিয়ে দেশে আসলে করোনার কারনে আটকে পড়ে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন