শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দাম স্বাভাবিক হবে এক মাসের মধ্যে

ছয় লাখ টন পেঁয়াজ মজুদ আছে : বাণিজ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

আগামী এক মাসের চাহিদা অনুযায়ী দেশে প্রায় ছয় লাখ টন পেঁয়াজ মজুদ আছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনসী। আর এক মাস সময় পেলেই বিকল্প বাজার থেকে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ এনে পরবর্তী চাহিদা মেটানো সম্ভব। পেঁয়াজের ওপর আরোপিত ৫ শতাংশ শুল্ক ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

গতকাল বুধবা সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুদ, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি একথা বলেন। এসময় বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব ওবায়দুল আজম, অতিরিক্ত সচিব শরিফা খান উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত সরকারের পেঁয়াজ রফতানি না করার সিদ্ধান্তের সুযোগ নিয়েছে দেশের এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। বছরে দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি রয়েছে ছয় লাখ টন। তবে এ মুহূর্তে পেঁয়াজের কোথাও কোনও সংকট নাই। সাধারণ ক্রেতাদের পেঁয়াজ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। দেশে পেঁয়াজের বাজার হঠাৎ অস্থির হয়ে ওঠায় ই-কমার্স সাইটের মাধ্যমে অনলাইনে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে।

পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ভারত গত মঙ্গলবার হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এরপর ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই দেশের বাজারে পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা ছুঁয়ে ফেলে। অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্য বৃদ্ধি ও মজুদে ঘাটতির কারণে গত বছর এই সেপ্টেম্বরেই প্রথমে পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধি এবং পরে রপ্তানি বন্ধ করেছিল ভারত। এরপর বাংলাদেশের বাজারে হু হু করে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম, ৫০-৬০ টাকা কেজি দামের পেঁয়াজ বিক্রি হয় ২৫০-৩০০ টাকায়। পরে মিয়ানমার, পাকিস্তান, চীন, মিশর, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নানা রঙের ও স্বাদের পেঁয়াজ আমদানি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে সরকার। নতুন পেঁয়াজ ওঠার পর গত মার্চে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ভারত। এখন আবার পেঁয়াজ রপ্তানি না করার ঘৈাষণা দেয় ভারত।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা অলরেডি মিয়ানমার, চীন ও তুরস্কের সঙ্গে কথা বলেছি। এক মাস সময় পেলেই সেখান থেকে পেঁয়াজ আনতে পারবো। আর এক মাসের জন্য যে পরিমাণ প্রয়োজন, সেটা আমাদের মজুদ আছে। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের একটি অংশ সুযোগ নেয়ায় এবং সাধারণ ক্রেতারা ‹প্যানিক বায়িং› করায় পেঁয়াজের বাজারে ভারসাম্যহীনতার সৃষ্টি হয়েছে। দেশের বাজারের ঘাটতি মেটাতে আগামী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ৪ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,গতবার টিসিবির আমদানির বাইরেও বড় বড় ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানি করে যে সহযোগিতা করেছিল সেসব পেঁয়াজও ভর্তুকি দিয়ে আমরা বিক্রি করেছিলাম। এক্ষেত্রে টিসিবির নিয়ম ভেঙে কিছু নতুন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও ওএমএসের ডিলাদের মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়েছিল। এবারও এসব পদ্ধতি অনুসরণ করে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে। গতবারের অভিজ্ঞতা এবার আমাদের খুব কাজে লাগছে।

মন্ত্রী বলেন, অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য বড় বড় ব্যবসায়ী গ্রুপের সঙ্গে কথা হয়েছে। এবারও তারা সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন। পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেওয়ায় গত রোববার থেকে ৩০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি)। টিসিবির ট্রাক থেকে একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ২ কেজি পরিমাণ পেঁয়াজ কিনতে পারছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন